আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা দুই শতাধিক দুস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছেন। রোববার (০১ মে) বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার জুড়ান মোল্লার পাড়ায় নিজ মায়ের বাড়ির উঠানে সেসব অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন তিনি।
এছাড়া নিজ গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী শহরের ভবানিপুর এবং ঢাকায়ও দরিদ্রের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন রোজিনা। এসময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। যাকাতের অর্থ দিয়ে প্রতিবছর এ কর্মসূচি পালন করেন অভিনেত্রী।
উপকারভোগী বাচ্চু শেখ বলেন, ‘নিজে কাম-কাইজ তেমন করতে পারিনা। মাইনসের কাছে চাইয়া-চিন্তা চলতে হয়। সেদিন এলাকার একজন বাড়ি এসে একটা লুঙ্গি দিইয়া গেছে। আইজ রোজিনা আপা আমারে ডাইকা একটা লুঙ্গি দিছে। অহন আর চিন্তা নাই। অন্তত এই বছরডা চইলা যাবেনে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মাঈনদ্দিন মানু বলেন, দেশের জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনা ম্যাডাম প্রতিবছর ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি এসে দরিদ্র মানুষের মাঝে শাড়ি-কাপড় বিতরণ করেন। সারাবছর এলাকার দরিদ্র মানুষকে উনি দান, সাদকা করে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোজিনার সঙ্গে সারাজীবন কাটিয়েছি। যখন উনি গ্রামে ফিরে আসেন, তখন গ্রামের সাধারণ মানুষ আনন্দ প্রকাশ করেন। এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে বাড়ির আঙিনায় একটি সুন্দর ‘দশ গম্বুজ মা খাদিজা জামে মসজিদ’ নির্মাণ করেছেন নায়িকা। মসজিদটি নির্মাণের পর থেকে এখানে প্রচুর মুসুল্লি হয়।’
রোজিনা বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর। গোয়ালন্দ হচ্ছে নানা বাড়ি। এখানেই আমার জন্ম। মায়ের বড় সন্তান হিসেবে অধিকাংশ সময় কেটেছে গোয়ালন্দে। এখানেই বড় হয়েছি। বাড়ির বড় সন্তান হিসেবে এই জমি মায়ের নামে দেন নানা। মায়ের সূত্র ধরে জমির মালিক আমি।’
তিনি বলেন, “পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে তুরস্কের মডেল দেখে দুটি মিনারসহ ১০টি গম্বুজ দিয়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে পুরোনো আদলে সেটি নির্মাণ করি।আমার মায়ের নামে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ‘দশ গম্বুজ মা খাদিজা জামে মসজিদ’ গড়ে তুলি।”