শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৬৬ জন অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না: তারেক রহমান ‘পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির জন্য যা দরকার সেনাবাহিনী তাই করবে’ নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধানের পরিবর্তন করা যায় না: গয়েশ্বর রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করতো আমলাদের মধ্যে এখনও ভারতের দোসর আছে: মাহমুদুর রহমান ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে আর্থিক কাঠামো আমুর আইনজীবীকে মারধর করা হয়নি: পিপি ফারুকী চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক জনগণকে উত্তেজিত না হওয়ার আহ্বান বাইডেনের ভারতে রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠল ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন নবি অস্ট্রেলিয়ার সামনে অন্য পাকিস্তান আজ মেঘ মেঘ করবে, কাল হতে পারে বৃষ্টি

দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমায় বিদেশের বাজারে প্রভাব পড়ছে

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০২৪
দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমায় বিদেশের বাজারে প্রভাব পড়ছে

ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমায় বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এখন টেলিভিশনের পক্ষ থেকে কানাডায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীতকালীন পণ্য অনেকটাই কম। বিপরীতে বাজার সম্প্রসারণ করছে ভারত, চীন, ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলো। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে আধিপত্য কমবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পোশাকের।

তুলনামূলক কম দামে ভালো পণ্য সুনামেই ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর। তবে এই অগ্রযাত্রায় এবার লেগেছে ভাটার টান। বর্তমানে মেইড ইন বাংলাদেশের শীতকালীন পোশাকে ভরপুর থাকার কথা থাকলেও কানাডার বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডশপের তাকে শোভা পাচ্ছে অন্যান্য দেশের তৈরি জামা-কাপড়।

ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান কার্যালয় ইউরো স্ট্যাট ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের তথ্য বলছে, আশঙ্কাজনক হারে কমেছে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের জোগান। চাহিদা মোতাবেক জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলছে, কানাডা ওয়ালমার্ট। ইউরোপ-আমেরিকা মিলিয়ে ১৫ শতাংশের বেশি কমেছে রপ্তানি। তবে মাঠ পর্যায়ে, বাজার ঘুরে দেখা গেছে এর প্রভাব আরও বেশি।

শূন্যস্থানে জেঁকে বসেছে ভারত, চীন, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর পণ্য। ক্রয়াদেশ পেতে পাইপলাইনে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ার মতো কিছু দেশ। যা হতাশার বলছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বর্তমানে কমসংখ্যক মেইড ইন বাংলাদেশ যে পণ্যগুলো মিলছে, যোগানহীনতায় দামও এখন বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘দাম অনেকটা বেশি হলেও অনেকসময় আমরা কেনার চেষ্টা করি। যেহেতু পণ্যটা আমাদের বাংলাদেশ থেকে আসা। বলতে গেলে পার্থক্য অনেক।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য বলছে, গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছরে এসে ১০০ কোটি ডলারের বেশি কমেছে আয়। এই ধারা অব্যাহত থাকলে, বছর শেষে কেবল আগস্ট থেকে ডিসেম্বরে লাভের অংক আরও কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে আশার কথা হলো, সেপ্টেম্বরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স গেছে ৫০ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কষ্টার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে পাঠাতে। তাদের চাওয়া, প্রয়োজনে বড় আমদানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলুক ঢাকা।

বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জোগান কমেছে আশঙ্কাজনকহারে। এভাবে চলতে থাকলে ভারত-চীনসহ অন্যান্য দেশ যেভাবে বাজার দখল করবে তাতে এই বাজার হারানোর শঙ্কাও তৈরি হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর এজন্য কার্যকরী উদ্যোগ এখনই নেয়া পরামর্শ তাদের।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ