শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কখনও রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পা দেবেন না: আসিফ নজরুল ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে’ আমিরাতে দুর্গাপূজার আয়োজনে বাঙালি হিন্দু কমিউনিটি শান্তিতে নোবেল পেল জাপানি প্রতিষ্ঠান নিহোন হিদাঙ্কিও স্বার্থান্বেষীদের ভূমিকা নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান রিজভীর অতীতের গৌরব ফেরাতে সক্রিয় ছাত্রদল ডিমের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটই মূল কারণ : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দীপ্ত টিভির সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ৫ দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত পাকিস্তানে কয়লা খনিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২০ ফ্লোরিডায় হারিকেন মিলটনের আঘাতে ১৬ জনের মৃত্যু বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত গাজায় ইসরায়েলি মেজরসহ ৩ সৈন্য নিহত চিলির মাঠে ব্রাজিলের কষ্টের জয় ভেনেজুয়েলার কাছে ধাক্কা খেল আর্জেন্টিনা

দেশের ১৪ শতাংশ হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০২২
দেশের ১৪ শতাংশ হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি

দেশে ১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন এ গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন।

ডা. শামস এল আরেফিন বলেন, বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ বিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি করপোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।

তিনি বলেন, গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে মূল্যায়নের জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে মূল্যায়ন করা হয়।

শামস এল আরেফিন বলেন, জরিপ করা ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ হিসাবে ১৪ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এবিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।

সংস্থাটি বলছে, দেশে এমন কিছু সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা নিবন্ধনের জন্য কখনোই আবেদন করেনি, শতকরা হিসেবে তা প্রায় ১৪ শতাংশ। এমনকি যারা কোন এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, তাদের মধ্যেও বড় একটি সংখ্যার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ২০১৯-২০ সালে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তবে, এই সময়ে এসে সেই পরিস্থিতি পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। অগ্রগতিটা সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতার কারণ হলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার ৭টি শর্ত/নিয়ম মানতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গেলে নানা বাঁধার মুখে পড়তে হয়, যে কারণে গুনগত স্বাস্থ্য সেবা দিতে সমস্যা হয়।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ