সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম ৬ দিনে যমুনা সেতুর টোল আদায় ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন করা হবে: আইন উপদেষ্টা ঈদে সড়কে ৩৯০ জন নিহত, দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২ শতাংশ ‘লন্ডন বৈঠকের পর দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে’ ‘লন্ডনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার ও ইসি যৌথভাবে কাজ শুরু করবে’ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যারা ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ডগড়া জয় বায়ার্নের অ্যাতলেটিকোকে উড়িয়ে দিলো পিএসজি ইরানের সর্বশেষ হামলায় নিহত ৫, আহত ৯২: ইসরাইল তেহরানে বিপ্লবী গার্ড কমান্ড কেন্দ্রে হামলার দাবি ইসরাইলের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৯ ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ দুই বাংলার শিল্পীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জয়ার

দেশে চলমান সংকট সমাধানের উপায় জানালেন মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : মে ২৪, ২০২৫
দেশে চলমান সংকট সমাধানের উপায় জানালেন মঈন খান

দেশে চলমান সংকট সমাধানে গণতান্ত্রিক উত্তরণই একমাত্র পন্থা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, এই মুহূর্তে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, দেশের গণমানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনা এবং ৫ আগস্টে দেশের যে পরিবর্তন এসেছিল, তার ৯ মাস পর দেশ এমন পরিস্থিতিতে এসে কীভাবে দাঁড়ালো আমি জানতে চাই।

তিনি বলেন, কিছু ঐতিহাসিক সত্য রয়েছে, যা কখনো অস্বীকার করা যাবে না। সময়ের বিবর্তনে হয়ত তার গুরুত্ব কমে যায়। ৭১ এর মতো ইতিহাসকে যারা অস্বীকার করতে চায়, তাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা উচিত। আজকের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান একটিই, আর তা হলো- গণতান্ত্রিক উত্তরণ।

মঈন খান আরও বলেন, একটি কথা আছে, তা হলো গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া আর বাকি সব ব্যবস্থা আরও বেশি খারাপ। এই সত্যটি উপলব্ধি করেই ৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রক্রিয়া সঠিকভাবে প্র‍্যাকটিস করা হলে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৫ বছর জনগণের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে। রাজনীতিবিদদের পরীক্ষা হলো নির্বাচন, সে নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, তাহলে সে পরীক্ষা থেকে বাদ। বলা হয় যে, অনেক নির্বাচনের মাধ্যমেও দেশ নাকি সঠিক পথে আসতে পারেনি। আমি বলতে চাই, বিগত ১৫ বছর দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দোষটা নির্বাচনের নয়, দোষটা তাদের যারা নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোনো সংবিধানে কিন্তু খারাপ কথা লেখা থাকে না। দেশে ৭২ সালের পর ৭৫ সালে একটা সংবিধান এসেছিল। সে সময় সংবিধানে একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলাফল ছিল বাকশাল। পরে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেসব ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন– গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, সংগঠনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ