মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘ভারতের কারণে উত্তরাঞ্চলের লাখো-কোটি জনগণ দুর্বিষহ জীবন পার করছে’ এটিএম আজহারকে মুক্তি না দিলে রাজপথেই সমাধান: জামায়াত আমির সরকার চাইলে তিস্তায় প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন : রাষ্ট্রদূত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে এবি পার্টি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অফিস তিস্তায় নেমে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদ শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে ভারতীয়রা পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দুর্নীতি কমাতে ডিসিদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়’ ‘জুলাই গণহত্যার কারিগরদের বিচার করতে পারলেই সফলতা আসবে’ ডিসিদের আওয়ামী আমলের মানসিকতা পরিহারের আহ্বান ট্রাইব্যুনালে আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামি সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি ভঙ্গ, ইসরাইলকে হিজবুল্লাহর হুমকি দুই মাদ্রিদকে টপকে লা লিগার শীর্ষে বার্সেলোনা

দেশে চাহিদার বিপরীতে ২ শতাংশ চিনিও উৎপাদন হচ্ছে না

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
দেশে চাহিদার বিপরীতে ২ শতাংশ চিনিও উৎপাদন হচ্ছে না

বিশাল চাহিদার বিপরীতে ২ শতাংশ চিনিও উৎপাদন করতে পারছে না দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলো। আখের দাম বাড়ানো ও প্রণোদনা দেয়ায় আখ চাষ কিছুটা বাড়লেও তা প্রভাব ফেলেনি চিনি উৎপাদনে। এছাড়া ৬টি চিনিকল বন্ধ থাকায় খাতটি হয়ে পড়েছে আমদানি নির্ভর। এতে মাঝে মধ্যেই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে চিনির বাজার। এ অবস্থায় উৎপাদন বাড়াতে বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো চালুর দাবি ব্যবসায়ী ও চিনিকল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের।

১৯৬২ সালে চালুর পর এ জয়পুরহাট চিনিকলে সর্বোচ্চ চিনির উৎপাদন ছিল ২২ হাজার ৪১ মেট্রিক টন। সর্বনিম্ন উৎপাদন ২০২১-২২ মড়াই মৌসুমে হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ১শ ৬২ মেট্রিক টন। তবে গত বছর উৎপাদন কিছু বাড়লেও এখনো আমদানি নির্ভরশীলতা কমছে না ফলে মাঝে মধ্যেই অস্থিতিশীল হচ্ছে চিনির বাজা।

মাড়াই সক্ষমতার দিক থেকে জয়পুরহাট দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল। প্রতিদিন ২ হাজার টন আখ মাড়াই সক্ষমতা থাকলেও এ চিনিকলটিতে দেখা দিয়েছে আখের সংকট। বর্তমানে এক মাস মাড়াই করার মতো আখ মিলছে না। চলতি মাড়াই মৌসুমে ৫০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ২ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা গত মৌসুমের তুলনায় কিছুটা বেশি। কৃষকরা বলছেন আখ চাষে কিছুটা সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় আগের তুলনায় আখ চাষ কিছুটা বেড়েছে। তবে দাম আরও বাড়ানোসহ উন্নত জাতের চারা দাবি করেছেন তারা। তবে চিনিকল কর্তৃপক্ষের দাবি কৃষকদের আখচাষে ফেরাতে কৃষি ঋণ ও বীজসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাট চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক তারেক ফরহাদ বলেন, ‘আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উন্নত মানের বীজ, কীটনাশক, নগদ অর্থসহ নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ’

২০২০-২১ মাড়াই মৌসুমে দেশের ১৫ চিনিকলের মধ্যে পঞ্চগড়, সেতাবগঞ্জ, শ্যামপুর , রংপুর , পাবনা ও কুষ্টিয়া চিনিকল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে ওই এলাকার আখ চাষ থেকে সরে আসে কৃষক। যার প্রভাব পড়ছে চিনি উৎপাদনে। চাকরি হারায় কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। দীর্ঘদিন চিনিকলগুলো বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি।

চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন দেশীয় চিনির উৎপাদন বাড়ানো। তাই বন্ধ চিনিকলগুলির চালুর পাশাপাশি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে মত চিনি ব্যবসায়ীদের।

জয়পুরহাট চিনিকলের চিনি ব্যবসায়ী ও ডিলার আব্দুস সালাম আকন্দ বলেন, ‘আগের চেয়ে এই চিনির মিলগুলোর উৎপাদন অনেক কমে গিয়েছে। এরই সঙ্গে ৬ টা মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন উৎপাদন কমে গেলে ভোক্তা চিনি চাহিদা মতো পাবেন না এবং বাজারে দামও বেড়ে যাবে। ’

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশে চিনির চাহিদা ছিল ২২ লাখ টন। সেখানে চিনি উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৪ হাজার টন যা চাহিদার মাত্র দেড় ভাগ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যমতে ২০২৪ সালে চিনি আমদানিতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার ৭শ ১০ কোটি টাকা।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ