মহররম মাসের ১০ তারিখ। শিয়া মুসলমানদের কালো কাপড়ে ছেয়ে গেছে ইরাকের কারবালার প্রান্তর। আকাশে বাতাসে প্রকম্পিত হচ্ছে- হায় হোসেন, হায় হোসেন।
এই দিন কারবালার প্রান্তরেই শহীদ হয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর দৌহিত্র হোসেন (রাঃ)। মুসলিম ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী দিনটি ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যে।
করোনা মহামারির প্রকোপ অনেকটা কমে যাওয়ায় এ বছর তাজিয়া মিছিলে যোগ হয়েছিলো নতুন মাত্রা। বুকে আঘাত করে, কিংবা ছুড়ি দিয়ে পিঠে ক্ষত করে শিয়া মুসলমানরা প্রকাশ করেন শোকের মাতম। ইয়েমেনে শোকবার্তা লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে লাখো মুসলমান।
আফগানিস্তানে শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার পরও, কাবুলে তাজিয়া মিছিলে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। হামলার শঙ্কায় মিছিলে তল্লাশি চালান তালেবান নিরাপত্তা বাহিনী।
আশুরাকে ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ সদস্য। এরইমধ্যে কাশ্মীরে আশুরার পালনে প্রস্তুতি নেয়ায় আটক করা হয় বেশ কয়জনকে। ১৯৮৯ সাল থেকে অঞ্চলটিতে আশুরার জমায়েত নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাজিয়া মিছিলে যোগ দেন মুসলমানরা।