প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের বিচার এখনও চলছে। তাহলে বাংলাদেশে হবে না কেন? লাখো মানুষের ওপর বর্বর অত্যাচারের বিচার করতে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় সচেষ্ট ছিল। তার দৃষ্টান্ত আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের সব মানুষের সঠিক বিচার নিশ্চিতে বিচারপতিদের তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মধ্যদিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিচারকরা রায় দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নানাভাবে আক্রমণের শিকার হতে পারেন। সেজন্য আমরা বিচারকদের নিরাপত্তা জোরদার করার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে খুন না করা হলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের দোসররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার বন্ধে আইন করেছিল। এরপরও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরুর মধ্যদিয়ে দেশে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গেলো একযুগে দেশে ১ হাজার ২২৭ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ২০০ জন বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মানুষের সঠিক বিচার নিশ্চিতে জুডিশিয়াল সার্ভিসের উন্নয়নে দরকারি সব কিছু করা।