দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে বর্তমানে ১০৪টি কূপ সচল আছে, যেগুলো থেকে প্রাকৃতিক দৈনিক গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে ২হাজার ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুন। পেট্রোবাংলার হিসাবে, এসব কূপে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ দশ টিসিএফ বা ১০ লাখ কোটি ঘনফুট।
বর্তমানে যে পরিমাণে গ্যাস উত্তোলন হয় তাতে এই মজুদ চলতে পারে সর্বোচ্চ ১০ বছর। গত দুই দশকে নতুন কোন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যত সংকট মোকাবেলায় অনুসন্ধান ও আবিস্কারে মনোযোগ দিতে হবে।
দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। কিন্তু এরমধ্যে গ্যাসের বড় কোনো মজুদ আবিষ্কার হয়নি। অনুসন্ধান তৎপরতাও তেমন ছিলো না। দেশে সচল ২০ টি গ্যাস ক্ষেত্রের ১০৪টি কুপ থেকে বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন হয়।
দেশের সচল কুপগুলোতে গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ আছে প্রায় ১০ টিসিএফ বা ১০ লাখ কোটি ঘনফুট। দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে এ সব কুপ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার তিনশো ঘনফুট গ্যাস।
গত ১৩ বছরে বাপেক্স ১৭ টি কুপে অনুসন্ধান চালিয়ে ৭ টিতে গ্যাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন গ্যাস ক্ষেত্র, কুপ খনন ও অনুসন্ধান জোরদার না করলে সংকট বাড়বে।
সমতল ভূমি ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের পাশাপাশি, পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসের সন্ধানে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
তিনি জানান, সিলেটের পুরনো দুটি কুপ কৈলাসটিলায় ১৯ মিলিয়ন ও বিয়ানিবাজারে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দৈনিক উত্তোলন করতে পারবে।
দেশে গ্যাসের মজুদ
মোট মজুদ ২৮.৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট
উত্তোলন ১৮.৭০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট
বর্তমান মজুদ ৯. ৬০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট
দৈনিক চাহিদা ৩৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট
দৈনিক সরবরাহ ২৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট
ঘাটতি ১১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট