বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড সংসদ নির্বাচনে ব্যালট প্রকল্পে ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া তথ্য এখন জাতীয় নিরাপত্তার কৌশলগত অস্ত্র: পরিবেশ উপদেষ্টা আনিসুল হক-মোশাররফ হোসেন রিমান্ডে আসছে সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি হত্যা মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে আইভী ‘দখল-চাঁদাবাজি করে বিএনপি যেন আওয়ামী লীগ না হয়, লক্ষ্য রাখবেন’ গণতন্ত্রের জন্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি: রিজভী ‘এসএসএফকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের বিরল রেকর্ড আর কাউকে হারাতে পারছে না ইন্তের মিলানো মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে নজিরবিহীন হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে : ইসরাইল ‘সন্ত্রাসী ইহুদিবাদীদের’ কঠিন জবাব দেবে ইরান: খামেনি ইরান ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের বৈঠক: হোয়াইট হাউস

দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২২
দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ

দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বুধবার (২৭শে জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।

বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ। এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়াদের স্বাক্ষরতার কোনো হিসাব না থাকলেও এবারের জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের স্বাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় স্বাক্ষরতার হার বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী পল্লী এলাকার মোট স্বাক্ষরতার হার ৭১.৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭৩.২৯ শতাংশ, নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৬৯.৯৩ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার ৫১.৯৭ শতাংশ। এছাড়া শহর এলাকায় মোট স্বাক্ষরতার হার ৮১.২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৮৩.১৮ শতাংশ, নারীদের ৭৯.৩০ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার ৫৫.২৮ শতাংশ।

২০১১ সালের আদমশুমারিতেও পল্লি এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় স্বাক্ষরতার হার বেশি ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে পল্লি এলাকার মোট স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৭.১৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.০১ শতাংশ আর নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৪৫.৩৮ শতাংশ। এছাড়া ২০১১ সালে শহর এলাকায় মোট স্বাক্ষরতার হার ছিল ৬৬.৪০ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৬৯.৩০ শতাংশ, নারীদের সংখ্যা ছিল ৬৩.২২ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, মোট স্বাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে; ৭৮.০৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে; ৬৭.০৯ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১১ সালে বরিশাল বিভাগে স্বাক্ষরতার হার ছিল সর্বোচ্চ ৫৬.৭৫ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে স্বাক্ষরতার হার ছিল সর্বনিম্ন ৪৫.০১ শতাংশ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ