মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের দেশের মোট রিজার্ভ ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘পরিকল্পনার কাজ শেষ, শিগগিরই শ্বেতপত্র লেখার কাজ শুরু করবে কমিটি’ ইসির নিবন্ধন পেল জোনায়েদ সাকির গণসংহতি মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার তারল্য সংকট সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক ফের তিন দিনের রিমান্ডে মেনন মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত ও শাহরিয়ার কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য খামেনির গাজা যুদ্ধ নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ২৩৬ শক্তিশালী দল ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা নতুন টি-টেন লিগে ডাক পেলেন সাকিব-তামিম

দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২২
দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ

দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বুধবার (২৭শে জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।

বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ। এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়াদের স্বাক্ষরতার কোনো হিসাব না থাকলেও এবারের জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের স্বাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় স্বাক্ষরতার হার বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী পল্লী এলাকার মোট স্বাক্ষরতার হার ৭১.৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭৩.২৯ শতাংশ, নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৬৯.৯৩ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার ৫১.৯৭ শতাংশ। এছাড়া শহর এলাকায় মোট স্বাক্ষরতার হার ৮১.২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৮৩.১৮ শতাংশ, নারীদের ৭৯.৩০ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার ৫৫.২৮ শতাংশ।

২০১১ সালের আদমশুমারিতেও পল্লি এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় স্বাক্ষরতার হার বেশি ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে পল্লি এলাকার মোট স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৭.১৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.০১ শতাংশ আর নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৪৫.৩৮ শতাংশ। এছাড়া ২০১১ সালে শহর এলাকায় মোট স্বাক্ষরতার হার ছিল ৬৬.৪০ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৬৯.৩০ শতাংশ, নারীদের সংখ্যা ছিল ৬৩.২২ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, মোট স্বাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে; ৭৮.০৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে; ৬৭.০৯ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১১ সালে বরিশাল বিভাগে স্বাক্ষরতার হার ছিল সর্বোচ্চ ৫৬.৭৫ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে স্বাক্ষরতার হার ছিল সর্বনিম্ন ৪৫.০১ শতাংশ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ