দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা দেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিকে ভাগাড়ে নিয়ে গেছে এই সরকার। শক্তি সঞ্চয় করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের হুঁশিয়ারীও দেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের মত জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে নয় বরং পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বিএনপির নেতারা রাজনীতি করে।
আগামী ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে আজ রোববার (৩০শে অক্টোবর) রাজধানীতে বিএনপির যৌথসভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ১৫ বছরে অর্থনীতিকে ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে, এটা আমার কথা না, প্রধানমন্ত্রীর কথা।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অধিকারের কোনো স্পেস নেই, সব নষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। জাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নির্বাচনকালীন ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। এটাকে বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ৷ এখন বলে—তারা করেনি, আদালত করেছে। টিকে থাকার জন্য তারা জনগণকে বোকা বানাতে চায়।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এতো উন্নয়ন করেছেন, তাহলে ভয় পান কেন? কারণ, জনগণ জানে। যে দুর্নীতি করেছেন, ভোটে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।’
গায়েবি মামলায় আওয়ামী লীগের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। ৭ নভেম্বর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৭ নভেম্বর সব চক্রান্ত নসাৎ করে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দিস ইজ ভেরি আনফরচুনেট। ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। সামাল দিতে পারবেন না। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, এত টাকা কোথা থেকে আসে…।’ তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।’
সভা থেকে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে ৭ নভেম্বর নয়াপল্টনে উন্মুক্ত সভা করবে বিএনপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা সরফত আলী সপু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সুলতানা রহমান, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মুনায়েম মুন্না প্রমুখ।