ছয় মিনিটের ব্যবধানে ইনজুরি টাইমের দুই গোলে গ্রানাডাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে বার্সেলোনাকে হঠিয়ে আবারো লা লিগা টেবিলের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে সেভিয়া। রাফা মির ও পাপু গোমেজ ইনজুরি টাইমে তৃতীয় ও নবম মিনিটে জয়সূচক গোলদুটি করেন।
গত সপ্তাহে বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানটি হারিয়েছিল সেভিয়া। রামোন সানচেজ পিজুয়ানে কাল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অধিানয়ক ভিক্টর দিয়াজের গোলে ৮৮ মিনিটে ২-২ গোলের সমতা ফেরায় সফরকারী গ্রানাডা। ঐ সময় মনে হয়েছিল জুলেন লোপেতেগুয়ের দল এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে যাচ্ছে। কিন্তু ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটের মিরের গোলে এগিয়ে যাবার পর লড়াইয়ে ফিরে সেভিয়া। এরপর ষষ্ঠ মিনিটে গোমেজ দলের জয় নিশ্চিত করেন।
টেবিলের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে গত সপ্তাহে পরাজয়ের পর সেভিয়া বর্তমানে কাতালান জায়ান্টদের তিন পয়েন্ট পিছনে ফেলে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যদিও বার্সেলোনার থেকে দুই ম্যাচ বেশী খেলেছে সেভিয়া।
কাল ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডারউইন মাচিসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল গ্রানাডা। এই গোলের পর মনে হচ্ছিল রেলিগেশন খরায় ধুকতে থাকা দলটি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছে। আট মিনিট পরে জেসুস নাভাসের ক্রস থেকে দিয়েগো কার্লোস সেভিয়াকে ম্যাচে ফেরান। ৬৬ মিনিটে গ্রানাডা গোলরক্ষক লুইস ম্যাক্সিমিয়ানোর ভুলে লুকাস ওকাম্পোস স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। মিরের একটি গোল ভিএআর অফসাইডের কারনে বাতিল করে না দিলে তখনই হয়ত জয় নিশ্চিত করতে পারতো সেভিয়া। ৮৮ মিনিটে কর্ণার থেকে শক্তিশালী হেডে দিয়াজ গ্রানাডার হয়ে সমতা ফেরান। কিন্তু তখনো ম্যাচেই নাটকীয়তা বাকি ছিল। ইনজুরি টাইমের ৯ মিনিটই সেভিয়া গ্রানাডাকে চেপে ধরেছিল। ইভান রাকিটিচের এসিস্টে মিরের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় সেভিয়া। এরপর শেষ মিনিটে গোমেজের গোলে জয় নিশ্চিত হয়। গত ১১ ম্যাচে এনিয়ে মাত্র তৃতীয় জয় নিশ্চিত করলো সেভিয়া। টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের তুলনায় তারা নয় পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে।