ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সুপারিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৪১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ মে ২০২২ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের নানা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো।

আইনের দুর্বলতায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাই আইনটিকে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় কিছু সংশোধন দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল জানিয়েছে, এরই মধ্যে আইনটির সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, ঈদের পরই জমা দেয়া হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।

সব অফিস, লিফট, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠ, পার্ক, প্রেক্ষাগৃহ, আদালত, বিমানবন্দর, নদীবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল ছাড়াও জনসমাগম ঘটে এমন সব জায়গাকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এ পাবলিক প্লেস হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আইনে এসব জায়গায় নির্ধারিত ‘স্মোকিং জোন’ ছাড়া ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় বেশিরভাগ ধূমপায়ীই জানেন না পাবলিক প্লেসে ধুমপান নিষিদ্ধ থাকার কথা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। এদেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ না করলে জনস্বাস্থ্য যেমন হুমকিতে পড়ছে তেমনি উৎসাহিত হচ্ছেন ধূমপায়ীরা। তাই আইনটিতে কিছু সংশোধনী আনার সুপারিশ করেছেন তারা।

১. পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহণে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
২. বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা
৩. তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ নিষিদ্ধ করা
৪. তামাকপণ্য খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা
৫. ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বাড়িয়ে ন্যূনতম ৮৫ শতাংশ করার পাশাপাশি তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ (প্লেইন প্যাকেজিং) আরোপ করা।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন কারিগরী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী জানান, পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহণে স্মোকিং জোন রাখার বিধানটি পরিবর্তন করতে হবে। কারণ স্মোকিং জোন রাখার অর্থ হচ্ছে ধূমপানে উৎসাহিত করা।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক হোসেন আলী খন্দকার জানান, ঈদের পরই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়েই তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করা না হলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সুপারিশ

আপডেট সময় : ১২:১৩:৪১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ মে ২০২২

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের নানা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো।

আইনের দুর্বলতায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাই আইনটিকে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় কিছু সংশোধন দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল জানিয়েছে, এরই মধ্যে আইনটির সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, ঈদের পরই জমা দেয়া হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।

সব অফিস, লিফট, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠ, পার্ক, প্রেক্ষাগৃহ, আদালত, বিমানবন্দর, নদীবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল ছাড়াও জনসমাগম ঘটে এমন সব জায়গাকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এ পাবলিক প্লেস হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আইনে এসব জায়গায় নির্ধারিত ‘স্মোকিং জোন’ ছাড়া ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় বেশিরভাগ ধূমপায়ীই জানেন না পাবলিক প্লেসে ধুমপান নিষিদ্ধ থাকার কথা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বের ৬৩টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। এদেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ না করলে জনস্বাস্থ্য যেমন হুমকিতে পড়ছে তেমনি উৎসাহিত হচ্ছেন ধূমপায়ীরা। তাই আইনটিতে কিছু সংশোধনী আনার সুপারিশ করেছেন তারা।

১. পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহণে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
২. বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা
৩. তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ নিষিদ্ধ করা
৪. তামাকপণ্য খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা
৫. ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
৬. সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বাড়িয়ে ন্যূনতম ৮৫ শতাংশ করার পাশাপাশি তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ (প্লেইন প্যাকেজিং) আরোপ করা।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন কারিগরী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী জানান, পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহণে স্মোকিং জোন রাখার বিধানটি পরিবর্তন করতে হবে। কারণ স্মোকিং জোন রাখার অর্থ হচ্ছে ধূমপানে উৎসাহিত করা।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক হোসেন আলী খন্দকার জানান, ঈদের পরই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়েই তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করা না হলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।