বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড সংসদ নির্বাচনে ব্যালট প্রকল্পে ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া তথ্য এখন জাতীয় নিরাপত্তার কৌশলগত অস্ত্র: পরিবেশ উপদেষ্টা আনিসুল হক-মোশাররফ হোসেন রিমান্ডে আসছে সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি হত্যা মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে আইভী ‘দখল-চাঁদাবাজি করে বিএনপি যেন আওয়ামী লীগ না হয়, লক্ষ্য রাখবেন’ গণতন্ত্রের জন্য অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি: রিজভী ‘এসএসএফকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের বিরল রেকর্ড আর কাউকে হারাতে পারছে না ইন্তের মিলানো মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে নজিরবিহীন হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে : ইসরাইল ‘সন্ত্রাসী ইহুদিবাদীদের’ কঠিন জবাব দেবে ইরান: খামেনি ইরান ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের বৈঠক: হোয়াইট হাউস

নতুন পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ৩, ২০২২
নতুন পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

মামলার ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরিবর্তন এনে নতুন ‘পারিবারিক আদালত আইন, ২০২২’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ রোববার (তেসরা জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের উপস্থাপন করা এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আগের আইনটি সামরিক শাসনামলের। ১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারিজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিলো। এরআগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হতো। হাইকোর্টের বিধি-বিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।’

‘একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হলো- আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরকেও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘আবার মামলার ক্ষেত্রে ফি যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটাকে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হতো। যদিও বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে, সেটাও অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।’


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ