বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জাতিসংঘে ‘ঐতিহাসিক’ প্রস্তাব পাস, ভারতসহ ভোট দেয়নি ৪৩ দেশ ইসরায়েলে নতুন করে অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেবে না জার্মানি লেবাননজুড়ে দ্বিতীয় দফায় পেজার বিস্ফোরণ, নিহত ২০ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ গ্রেপ্তার আরেকটি হত্যা মামলায় আসামি শেখ হাসিনা-রেহানা-জয়সহ ২১৬ জন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির সম্ভাব্য বৈঠক হচ্ছে না পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান: পরিবেশ উপদেষ্টা আন্দোলনে নিহতের পরিবার প্রাথমিকভাবে পাবে ৫ লাখ, আহত ১ লাখ অর্জিত বিজয় যেন নষ্ট না হয়: মির্জা ফখরুল রাষ্ট্র পুনর্গঠনের তাগিদ ফরহাদ মজহারের সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হলেন মুহাম্মদ আবদুল্লাহ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প বাতিল : পরিকল্পনা উপদেষ্টা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দল ঘোষণা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে সেনাবাহিনী : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

নতুন পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ৩, ২০২২
নতুন পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

মামলার ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরিবর্তন এনে নতুন ‘পারিবারিক আদালত আইন, ২০২২’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ রোববার (তেসরা জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের উপস্থাপন করা এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আগের আইনটি সামরিক শাসনামলের। ১৯৮৫ সালে একটি ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স হয়, সেই অর্ডিন্যান্সে পারিবারিক বিষয়গুলো দাম্পত্য কলহ, তালাক, ম্যারিজ রেস্টোরেশন, শিশুদের ভরণপোষণ- এ বিষয়গুলো ছিলো। এরআগে এ বিষয়গুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৪(৮৮)-তে বিবেচ্য হতো। হাইকোর্টের বিধি-বিধান অনুযায়ী এটিকে (সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত করতে হবে, তাই এ আইনের খসড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে যেটা ছিল মোটামুটি সেটাই আছে। এখানে ৩১টি ধারা আছে। বিবাহবিচ্ছেদ, দম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশু সন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ আদালত বিবেচনায় নেবে।’

‘একটাই মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটা হলো- আগে ছিল যে আদালতে রায় হবে সেটার আপিল কর্তৃপক্ষ ছিলেন জেলা জজ। এখান সংশোধন এনে বলা হচ্ছে, জেলাপর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। শুধু জেলা জজ বললে ওনার ওপর একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। সরকার যদি মনে করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজপর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরকেও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘আবার মামলার ক্ষেত্রে ফি যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটাকে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কারণ ১৯৮৫ সালে কোর্টে মামলা করলে ৫০ টাকা দিতে হতো। যদিও বাড়িয়ে এখন যেটা করা হয়েছে, সেটাও অনেক কম। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটু অসহায় মেয়েরা এসে মামলা দায়ের করে সেটা বিবেচনা করে ফি বাড়ানো হয়নি।’


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ