বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। তবে সে দাবি উড়িয়ে বড় ভাই মাহিন্দ্র রাজাপাকসেকে নেতৃত্বে রেখেই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের আত্মীয়-স্বজন যারা আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন তাদের নতুন ১৭ জন মন্ত্রীর তালিকায় রাখা হয়নি। যদিও কয়েকজন তাদের পদবী ছাড়েননি।
আগের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী আলি সাবেরি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি এল পিরিসনজসহ আরও চারজন পদত্যাগ করেননি। ২১ সদস্যের বর্তমান মন্ত্রিসভার সব সদস্যই পুরুষ। তবে আগের মন্ত্রিসভার একজন নারী সদস্য ছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বিরোধী দলকে মন্ত্রিসভায় যোগদানের আহ্বান জানানো হলেও তারা তাতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটি ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর বর্তমানে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সঙ্কটে পড়ে প্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান খাদ্য এবং জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। ফলে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে, মূল্য বেড়েছে বহুগুণ। গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণে নিজেকে খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
দিনের অর্ধেক বা তারও বেশি বিদ্যুৎ না থাকা, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সঙ্কটের কারণে জনরোষ বেড়েছে। আগের মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রীর পদ না ছাড়া মাহিন্দ্র রাজাপাকসে পরিস্থিতি শান্ত করতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিই জোরালো হচ্ছে।
চলতি এপ্রিলেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবিতে গণআন্দোলন শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে দেশটির মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও পদত্যাগ করেননি ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া।