আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছেন পশ্চিম আফ্রিকান নেতারা। কখন ও কীভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়েও নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নাইজার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
গত মাসের শেষ দিকে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজৌমকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে তিহানি। এ অবস্থায় নাইজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।
গতকাল শুক্রবার নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় তিনদিনের বৈঠক শেষে সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন ইকোওয়াসের রাজনীতি, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার আবদেল–ফাতাউ মুসাহ। তবে সামরিক অভিযান কবে থেকে শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেন, কীভাবে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে এবং এ জন্য কী প্রয়োজন সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন নেতারা। আগামী রোববারের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজৌমকে পুনর্বহাল না করা হলে বল প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকান নেতারা।
এর আগে ইকোওয়াসের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার আলোচনার জন্য নাইজারে যায়। সেখানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোনো ফলাফল আসেনি।
নাইজারের সামরিক বাহিনী অন্য দেশের হস্তক্ষেপের হুমকির নিন্দা জানিয়েছে। এমন কিছু হলে প্রতিরোধ করা হবে। আর এ ধরনের পদক্ষেপ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে নাইজারের প্রতি সমর্থন দিয়েছে মালি ও বুরকিনা ফাসো। প্রতিবেশী দেশ দুটিতে বর্তমানে সেনা–সমর্থিত সরকার রয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় টিভিতে একটি যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নাইজারের বিরুদ্ধে যে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনার পাশাপাশি পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।