বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের পড়াশুনা বন্ধের পর এবার দেশ-বিদেশি এনজিওতে তাদের কাজের সুবিধা বাতিল করেছে তালেবান। শনিবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত সপ্তাহে তালেবানের প্রশাসন আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দ্বার নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর এনজিওতে কর্মরত নারীদের বিষয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলো।
এনজিওতে নারী কর্মীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তালেবানের নির্দেশনার চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব।
দেশটিতে এনজিওর কিছু নারী কর্মী ইসলামিক পোশাকবিধি সংক্রান্ত তালেবান প্রশাসনের ব্যাখ্যা মেনে না চলায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনজিওতে নারীদের কাজের সুবিধা বাতিল করায় তালেবানের ব্যাপক সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। একে জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের মতো সংস্থার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সংস্থাটি আফগানিস্তানে মানবিক সংকট মোকাবিলায় বিস্তৃত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া সংস্থাটিতে অনেক নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা সরকারের এই চিঠির ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করছে।
মানবাধিকার ও নারী অধিকারের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনের অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসা তালেবান ইতোমধ্যে আফগান নারীদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চাকরি থেকে মেয়েদের বহিষ্কার, অভিভাবক ছাড়া গাড়িতে চলাচল ও মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির পর স্কুলে নিষিদ্ধ করার তালেবানের সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে।
গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। তবে এরপরই নারীদের অধিকার খর্ব করতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মহল।