বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শপথ গ্রহণের পরই ভারতসহ ১১ দেশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘হুমকি’ ‘২০০ সিট পেলেও এককভাবে ক্ষমতায় যাবে না বিএনপি’ সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে বন্দিবিনিময় চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে’ বিপিএল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে তাসকিনের ভাবনা ব্যর্থতা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জো বাইডেন জনগণ রায় দেবে আ. লীগের রাজনীতির অধিকার আছে কিনা: জামায়াতের আমির ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা তথ্য কমিশনার পদ থেকে মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ সিনিয়র ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প, হাজারো কর্মকর্তাকে হুমকি ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর আমরা ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই : ফখরুল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও জোরদার বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করল সরকার নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম

নায়করাজের চিরবিদায়ের দিন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২২
নায়করাজের চিরবিদায়ের দিন

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কালজয়ী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের এ দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি মিলাদ মাহফিলসহ নানা আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে উজ্জ্বল এই নক্ষত্রের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩শে জানুয়ারি, কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে রাজ্জাক পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় ‘উজালা’ সিনেমায় পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে হাতে খড়ি হয়। এরপরের ইতিহাস বর্ণাঢ্য।

’৬০-এর দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির সিনেমা ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এ একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক ঢাকায় তার অভিনয় জীবনের সূচনা করেন।

এরপর নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি রাজ্জাককে।

৬০-এর দশকের শেষ থেকে শুরু করে ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেন তিনি। একে একে নায়ক হয়েছেন তিনশরও বেশি চলচ্চিত্রে। রাজ্জাক অভিনীত দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘মধুমিলন’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘কী যে করি’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘বেঈমান’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বাদী থেকে বেগম’ প্রভৃতি।

সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন চিত্রনায়ক রাজ্জাক। সর্বশেষ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘আয়না কাহিনী’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন।

রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো রূপালি জগতকে যেমন করেছে আলোকিত, তেমনি করেছে সমৃদ্ধ। এ অভিনেতাকে নায়ক রাজ উপাধি দিয়েছিলেন চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী।

দীর্ঘ কর্মজীবনে আজীবন সম্মাননাসহ মোট ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্র তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ