শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন নিয়ে বিপরীত মেরুতে সরকার-রাজনৈতিক দল! পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার জামিন শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ কাল অবকাঠামো উন্নয়নের নামে প্রকৃতি নষ্ট না করার আহবান পরিবেশ উপদেষ্টার ‘শেখ হাসিনার মতো দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়ে নিশ্চুপ পার্শ্ববর্তী দেশ’ মুক্তিযুদ্ধের সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা কখনোই শেখ মুজিব দেননি: মান্না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড গাজা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন প্রয়োজন: ডব্লিউএইচও শুধু নির্বাচনের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়নি : নুরুল হক নুর ট্রাম্পকে কড়া জবাব দিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ভাতা পাচ্ছেন ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন, পুরোহিত ‘দুর্বল মেডিকেলগুলোকে সবলের সঙ্গে একীভূতকরণের চিন্তা করা হচ্ছে’ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ নিক পোথাসের পদত্যাগ ইউক্রেন সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ফোন প্রতারকদের খপ্পরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রিয়ালের দুর্দান্ত জয়, নিশ্চিত হলো শেষ আট

নিউমার্কেটের সংঘর্ষ: ৬ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে ডিএমপি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ২৪, ২০২২

নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। যাদেরকে শনাক্তও করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে শনাক্ত হওয়া ৬ জনের নাম আপাতত বলা যাচ্ছে না জানিয়ে এই উপ-কমিশনার বলেন, তাদেরকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

অন্যদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নাহিদকে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেন দুই যুবক। পরে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন আরেকজন।

এদিকে রামদা হাতে যুবকের নাম কিছু গণমাধ্যমে রাব্বি বলা হলেও, তার নাম রাব্বি নয় ইমন। সে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী, থাকেন ইন্টারন্যাশনাল হলের ১০১ নম্বর রুমে। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার পাইকগাছায়। সে একজন ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।

এছাড়া, সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রধারীদের পরিচয় শনাক্ত করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। যাদের একজনের নাম কাইয়ুম।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

পরে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে এবং লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা নিউ মার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। থেমে থেমে সারাদিন চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন। দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হলেও কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদ মিয়া ও দোকানকর্মী মোহাম্মদ মুরসালিন নিহত হন। মোশারফ হোসেন নামের ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী এখনও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া চার মামলার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ধারায় দায়ের হওয়া দু’টি মামলা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তদন্ত করছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ