বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শপথ গ্রহণের পরই ভারতসহ ১১ দেশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘হুমকি’ ‘২০০ সিট পেলেও এককভাবে ক্ষমতায় যাবে না বিএনপি’ সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে বন্দিবিনিময় চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে’ বিপিএল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে তাসকিনের ভাবনা ব্যর্থতা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জো বাইডেন জনগণ রায় দেবে আ. লীগের রাজনীতির অধিকার আছে কিনা: জামায়াতের আমির ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা তথ্য কমিশনার পদ থেকে মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ সিনিয়র ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প, হাজারো কর্মকর্তাকে হুমকি ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর আমরা ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই : ফখরুল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও জোরদার বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করল সরকার নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম

নিউ মার্কেটে সহিংসতায় পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন ফখরুলের

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২২
‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে অর্থের অপচয় করছে সরকার’

নিউ মার্কেট এলাকায় দোকানকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘটিত দিনভর সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘গতকাল নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যে সংঘর্ষ হয়েছে একজনের প্রাণ গেছে এবং কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আমার প্রশ্ন যে, পুলিশের যে কর্মকর্তারা দায়িত্বে ছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেছে যে, স্ট্যাটেজিক কারণে আমরা নিষ্ক্রিয় ছিলাম।”

‘‘কোন স্ট্যাটেজিক কারণে আপনারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন? সেই স্ট্যাটেজিক কারণ হচ্ছে দেশে মানুষ তারা নিহত হবে, এই স্ট্যাটেজিক কারণে যে একটা সমস্যা তৈরি হবে, সেই সমস্যা নিয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদেরকে প্রবাহিত করবে? কোন স্ট্যাটেজিক কারণ থাকে যখন বিএনপির ছোট-খাটো কর্মসূচি থাকে তা প্রতিরোধ করার জন্য শত শত হাজার হাজার পুলিশ মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়। কোন স্ট্যাটেজিক কারণে গুলি করে বিএনপির মিছিলগুলো স্তব্ধ করে, কোনো স্ট্যাটেজিক কারণে মানুষ হত্যা করে বিরোধী দলের যে বৈধ আন্দোলন সেটাতে ব্যাহত করে দেয়।”

তিনি বলেন, ‘‘এই কথা বলার কোনো অপেক্ষা রাখে না যে, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে, এই ব্যর্থ সরকার এখন রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করেছে। এটা একটা ফেল্ড স্টেট। কোথাও তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।”

‘‘আজকে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হয় না, অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলো আছে সেখানে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না, চুরি করে, দুর্নীতি করে সেখানে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। এই যে এতোগুলো দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলো, আমরা বললাম সেগুলোর কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নাই।”

এদিকে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়ের কৃত মামলার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন,‘‘ ১৫ বছর আগে দুদকের একটা মামলা গতকাল রিভাইব করা হয়েছে, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি মামলা একই রিভাইব করা হয়েছে। এখন পুরোপুরি ডাইভারশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে যখন তাদের দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।”

‘‘আপনার নিশ্চয় লক্ষ্য করেছে যে, আজকাল কিছু পত্রিকাতে তাদের (সরকারের লোকজন) বিভিন্ন দুর্নীতির খবর করে। যেমন কয়েকদিন আগে বেরিয়ে কুষ্টিয়ার স্কুল শিক্ষিকা শত কোটি টাকার উপরে তার সম্পদ, তার স্বামী এখন উপজেলা চেয়ারম্যান তার হাজার কোটি টাকার ওপরে সম্পদ এবং তিনি একজন অত্যন্ত প্রভাবশাল আওয়ামী লীগ নেতা ..। প্রত্যেকটি জেলা, প্রত্যেকটি উপজেলায় এমনকি ইউনিয়নের পর্যন্ত দুর্নীতি করছে ওরা।”

প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা ও আইনমন্ত্রীর ফাঁস হওয়া কথোপকথনের বিষয়ে তদন্ত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে দুর্নীতির দমন কমিশনের চিঠি দেয়ার কথাও জানান তিনি বলেন, ‘‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। যেটা কোনো মতেই কোনো মামলা হতে পারে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা আবার শুরু করতে যাচ্ছে। অথচ সরকারের দুর্নীতির কোনো তদন্ত দুদক করছে না। এই দুদকে পুরোপুরিভাবে দলীয়করণের মধ্যে আছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে, সমগ্র প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে।”

‘‘সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে ছদ্মবেশী একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখন তাদের লক্ষ্য আগামী যে নির্বাচন আছে সেই নির্বাচনকে কি করে আগের মতো তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে, আবার তারা ক্ষমতায় আসবে সেটাই তারা করছে।”

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে দলের গুম-খুন ও নির্যাতনের শিকার নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের ঈদ সহযোগিতা দিতে এই অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছয়টি পরিবারের সদস্যদের তারেক রহমানের ঈদ শুভেচ্ছা তুলে দেন মির্জা ফখরুল।

অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম রুম্মন, নিহত ছাত্র্র দল নেতা নুরুজ্জামান স্ত্রী মনিশা বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির মীর হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নাজমুল আহসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কুমার সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল বারী ড্যানি, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, ওবায়দুর রহমান চন্দন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান ও আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ