নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩৯ দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬টি দল সংলাপে অংশ নিয়েছে। বিএনপিসহ ৯টি দল এই সংলাপে অংশই নেয়নি। আগামী রোববার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে। সংলাপে অংশ নেওয়া ২৬টি দল নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে।
গত ১৭ জুলাই থেকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নেওয়া ১৮টি দল চলমান নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে চারটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের সুপারিশ করেছে। ভোটের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসনসহ কয়েক মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে ১৩টি দল। চারটি দল নিবন্ধিত দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুপারিশ করেছে।
এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, দিলীপ বড়ূয়ার সাম্যবাদী দল ও তরীকত ফেডারেশনও বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চেয়েছে। তারা ভোটের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগ ইসির হাতে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া তফসিল ঘোষণার পরে সংসদ ভেঙে দেওয়া, মন্ত্রিপরিষদকে অকার্যকর রাখা, রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব ডিসিদের না দেওয়া এবং ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য উঠে এসেছে সংলাপে।
তবে বিদ্যমান পদ্ধতি বহাল রেখেই আগামী সংসদ নির্বাচন চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনারা দলীয় সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও বলেছেন, সংবিধানের মধ্যে থেকেই ইসিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে।
নিবন্ধিত সব দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। দলনিরপেক্ষ বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি, খেলাফত মজলিস ও খেলাফত আন্দোলন। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারীদের নিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে গণফ্রন্ট ও মুসলিম লীগ।
সংলাপ বর্জন :সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।