আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলো নানা রকম তৎপরতা শুরু করেছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে, তাদের নতুন জোট গঠন করা। তবে এই জোট গঠনের ব্যাপারে কিছু দলের দ্বিমতও রয়েছে। ইসলামিক দলগুলো সংসদের ৩০০ আসনে না পারলেও সমঝোতার মাধ্যমে কিছু আসনে প্রার্থী দিতে আলোচনা শুরু করেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর চেস্টা করছে ইসলামি দলগুলোর নেতারা। নিবন্ধিত কী অনিবন্ধিত ইসলামী দলগুলো নির্বাচনী সমঝোতা করতে নতুন জোট গঠনের নানা তৎপরতাও চালাচ্ছে।
দলগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া, মাঠের রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে নিজেদের গুরুত্ব সৃষ্টি করা। এই প্ল্যাটফর্মটি কোন রাজনৈতিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে না। তবে নির্বাচনী সমঝোতার এই প্রক্রিয়ায় সরকারের দিক থেকে উৎসাহ থাকলেও বিরোধী দলগুলো থেকে তেমন কোন সম্মতি নেই।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইফসুফীসহ ধর্মভিত্তিক দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, নির্বাচনী সমঝোতার উদ্যোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহসহ ইসলামি দলগুলোর কেউ কেউ এই সমঝোতার উদ্যোগের সাথে একমত নয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ও গণতান্ত্রিক ইসলামী পার্টিও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, তারা সরকারি জোটে থাকতে আগ্রহী।
ইসলামিক দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনকালীন জোটে থাকা না থাকা নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অনিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা আবদুর রকিব ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি একে এম আশরাফুল হক।
নির্বাচনী সমঝোতার বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কতটি দল একমত হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ভেতরেই। নানা বিষয়ে মতবিরোধও রয়েছে।