শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’ নরেন্দ্র মোদী পুণ্যস্নান করলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ চার প্রদেশ ও নতুন দুই বিভাগের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ না: জামায়াতের নায়েবে আমির আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়েদের জাতীয় দলের প্রধান কোচ থানায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমরসহ তিনজন গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প সুইডেনে স্কুলে গুলি, নিহত ১০ তাপমাত্রার সাথে বাড়বে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই খালাস

নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২৫
নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম

নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। যারা গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, ফেরারি আসামি এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা যেন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারে সেসব প্রস্তাব রেখেছি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা খুন করেছে, মানুষদের গুম করেছে তারা আবার রাষ্ট্র পরিচালনা করুক সেটা অধিকাংশ জনগণই চায় না। সেজন্য তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান আরও বলেন, ‘গত ৩ নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।’

নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘ব্যাপক অসঙ্গতির কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতি মুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এছাড়া নির্বাচন সম্পর্কে জ্ঞান আছে দেশে এমন লোক খুবই কম। যারা অপরাধী তারা যেন রাজনৈতিক দলে অংশ গ্রহণ করতে না পারে সেই প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কমিশনের প্রধান বলেন, আর্থিক স্বচ্ছতা, গণতন্ত্রের চর্চা এবং দায়বদ্ধতা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসির আর্থিক স্বাধীনতা থাকতে হবে। স্বাধীনভাবে এনআইডি ব্যবস্থার দায়িত্ব দেয়ার জন্য বলেছি। নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার না করার জন্য প্রস্তাব করেছি। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করেছি।

বদিউল আলম বলেন, আমরা কোনো দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পক্ষে না। তবে যারা জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দল।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীদের জন্য ১০০ আসন বৃদ্ধি করার জন্য বলেছি। এতে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হবে। নির্দলীয় রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব রেখেছি।

রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিচ্ছন্ন করা, নির্বাচনী অঙ্গন দুর্নীতি মুক্ত এবং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা খুবই জরুরি। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্যে নয়। তবে যারা দেড় দুই হাজার মানুষ খুন করেছে, গুম করেছে অধিকাংশ জনগণ চায় না তারা আবার রাষ্ট্র পরিচালনা করুক। খুনের দায়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ