আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও আওয়ামী লীগ এবং তাদের পোষ্য বিশিষ্টজন’রা ভোট ডাকাতির জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, অতীতের ভোট ডাকাতির তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে যেসব ভয়ংকর পন্থা অবলম্বন করেছিল এখন সেই একই পথে নেমেছে সরকার। দমন পীড়ন, মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুম-খুন-জঙ্গী নাটক শুরু করেছে। কথা বলার অধিকার এবং সত্য প্রকাশ বন্ধের জন্য নতুন নতুন ফরমান জারি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে আইন করে দুর্নীতিকে আড়াল করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ রাষ্ট্রের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টির জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাথে তাদের আত্মা বিক্রি করা সহযোগীরা ভোট ডাকাতির জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লেখা-লেখি ও বিবৃতিবাজির মাধ্যমে সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানানোর লিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্রমাগত চোরাবালির মধ্যে ডুবিয়ে দিচ্ছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের টাকায় পরিচালিত প্রচার মাধ্যমগুলোকে সরকার আওয়ামী লীগের দাপ্তরিক প্রচারযন্ত্রে পরিণত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে কেউ সমালোচনা বা ঠাট্টা করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা’র খড়গ নেমে আসে। ক’দিন আগে আপনারা দেখেছেন যে, রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সত্য ও সামান্য সমালোচনা করার অপরাধে সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গভীর রাতে তার দুই শিশু সন্তানকে রেখে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ধরণের ঘটনা এখন নিত্যদিনের। এই সমস্ত ঘটনা শুনলে হিম ঠাণ্ডা ত্রাস ও আতঙ্কের চোরা ¯স্রোত নেমে যায় শিরদাঁড়া দিয়ে। সারাদেশটাই এখন ভয় ও আতঙ্কের শিহরিত জনপদ।