বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘ভারতের কারণে উত্তরাঞ্চলের লাখো-কোটি জনগণ দুর্বিষহ জীবন পার করছে’ এটিএম আজহারকে মুক্তি না দিলে রাজপথেই সমাধান: জামায়াত আমির সরকার চাইলে তিস্তায় প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন : রাষ্ট্রদূত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে এবি পার্টি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অফিস তিস্তায় নেমে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদ শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে ভারতীয়রা পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দুর্নীতি কমাতে ডিসিদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়’ ‘জুলাই গণহত্যার কারিগরদের বিচার করতে পারলেই সফলতা আসবে’ ডিসিদের আওয়ামী আমলের মানসিকতা পরিহারের আহ্বান ট্রাইব্যুনালে আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামি সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি ভঙ্গ, ইসরাইলকে হিজবুল্লাহর হুমকি দুই মাদ্রিদকে টপকে লা লিগার শীর্ষে বার্সেলোনা

নির্বিচারে হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২০, ২০২২
নির্বিচারে হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা

ইথিওপিয়ার ওরোমো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলায় আমহারা নামের ক্ষুদে নৃগোষ্ঠীর শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ওরোমো লিবারেশন আর্মি (ওএলএ) এই হামলার জন্য দায়ী বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তারা এ হামলা দায় অস্বীকার করেছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরও দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান- এ হামলায় দুইশোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওরোমিয়ার আঞ্চলিক সরকার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও হতাহতের সংখ্যাসহ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

আদ্দিস আবাবায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেনি আলজাজিরা। জাতিগত বিরোধ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশটিতে লেগেই আছে। উত্তর তাইগ্রে অঞ্চলে ২০২০ সালে শুরু হওয়ার লড়াই গত বছর আফার ও আমহারার প্রতিবেশী অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে।

গিম্বি কাউন্টির বাসিন্দা আব্দুল-সইদ তাহির শনিবারের হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার পর এপি নিউজকে বলেন, ‘আমি ২৩০টি মরদেহ দেখেছি। আমার জীবনে এতো নিরীহ মানুষকে একসঙ্গে হত্যা করার ঘটনা দেখিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের গণকবর দিচ্ছি এবং এখনো মরদেহ সংগ্রহ করছি।’ ফেডারেল আর্মি ইউনিট এখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে তারা চলে গেলে আরও হামলা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

শাম্বেল নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্থানীয় আমহারা সম্প্রদায় এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় ৩০ বছর আগে পুনর্বাসন কর্মসূচিতে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা আমহারা সম্প্রদায়ের মানুষকে এখন ‘মুরগির মতো মেরে ফেলা হচ্ছে’।

অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী আবদু হাসান বলেন, ‘আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। কেউ রেহাই পায়নি। আমি শুনেছি তিনশ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে দুটি গ্রামে আরও বেশি মানুষ নিহত হতে পারে’।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ