আর মাত্র দিন কয়েক পরেই কাতার বিশ্বকাপ। এরপরই বেজে উঠবে ফিফা বিশ্বকাপের জমকালো দামামা। কাতার বিশ্বকাপের আগে দারুণ ছন্দে আছেন নেইমার জুনিয়র। পিএসজির প্রায় প্রতিটি জয়েই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রোববার রাতে ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে নিজে গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেনও নেইমার। আর তাতেই লরিয়েন্তকে ২-১ গোলে হারিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
এদিন ম্যাচের মাত্র নবম মিনিটেই দুর্দান্ত এক গোলে দলকে লিড এনে দেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩তম মিনিটে করা তেরেম মোফির গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। তবে শেষ মুহূর্তে ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় নেইমারের বাড়ানো বলে হেডে গোল করে পিএসজির দর্শকদের উল্লাসে ভাসান দানিলো।
এদিন লিওনেল মেসিকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল পিএসজি। পায়ের গোড়ালির পেছনের অংশে চোট পাওয়ায় আপাতত বিশ্রামে আছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তার অনুপস্থিতি অবশ্য বুঝতে দিলেন না নেইমার। নবম মিনিটেই প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। নেইমারকে থামাতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান লরিয়েন্তের গোলরক্ষক। পরে তাকে তুলে নিতে বাধ্য হন স্বাগতিক দলের কোচ।
গোল হজম করার পর আক্রমণের ধার বাড়ানোর বদলে নিজেদের রক্ষণ আরও জমাট করে ফেলে লরিয়েন্ত। তবে মাঝমাঠ এবং প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে নিয়মিত আক্রমণ শানিয়ে যায় পিএসজি। ধীরে ধীরে রক্ষণ আলগা করে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে লরিয়েন্তও। কিন্তু প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আধিপত্য বজায় রাখে পিএসজি। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ৫৩তম মিনিটে করা তেরেম মোফির গোলে সমতায় ফেরে লরিয়েন্ত।
লরিয়েন্ত সমতায় ফিরতেই মরিয়া হয়ে আক্রমণে ওঠে আসে পিএসজি। অবশেষে ৮১তম মিনিটে আসে সাফল্য। এবার নেইমারের কর্নার কিক থেকে ডি-বক্সের জটলায় বল পেয়ে দারুণ হেডে জালে জড়িয়ে দেন দানিলো। বাকি সময় দুই দল আর কোনো গোল না পাওয়ায় পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার-এমবাপ্পেরা।
মৌসুমে আসরের পয়েন্ট টেবিলে ১৪ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে লেন্স আর চারে থাকা লরিয়েন্তর পয়েন্ট ২৭।