নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাওয়ায় ৯ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বন্যাকবলিত মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০শে জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে জেলার ২৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু অবস্থান করছে। সরকারী তথ্যমতে এরমধ্যে ২ হাজার ৯০৬ জন শিশু ও ২০৯ জন প্রতিবন্ধী। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিছু নিম্নাঞ্চল ছাড়া অন্য এলাকায় পানি নেমে যাওয়ায় গত দুদিনে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরে ফিরেছেন। যাদের বাড়িঘরে এখনও বন্যার পানি রয়েছে বা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন।
তিনি বলেন, বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৮০ দশমিক ৫০০ টন চাল, ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৭ হাজার ৩৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত বলেন, জেলার কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালি, ধনুসহ ছোটবড় সব নদ-নদীর পানি গত তিনদিন ধরে দ্রুত কমছে। তবে উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ও ধনু নদের খালিয়াজুরি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৭ জুন সকালে পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদী উপচে গাওকান্দিয়া সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পানির চাপে সড়ক ভেঙে শত শত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।