নোয়াখালীর সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলার পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে যমজ দুই ভাই-বোনসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক স্থানে পুকুর থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগুনি গ্রামের অলি কোম্পানির বাড়ির মোস্তফার ছেলে আলিফ (২) ও মাহির আক্তার (২), ডমুরুয়া ইউনিয়নের জিরুয়া পাটোয়ারী বাড়ির কুয়েত প্রবাসী মহিন উদ্দিনের মেয়ে স্কুল ছাত্রী মাইশা আক্তার (১০) এবং চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীর ছেলে মো. স্বপন (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগুনি গ্রামের অলি কোম্পানির বাড়ির মোস্তফার দুই যমজ ছেলে-মেয়ে পুকুর পাড়ে খেলা করতে যায়। দুপুরের কোনো একসময় পরিবারের লোকজনের অজান্তে তারা দু’জন পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে শুক্রবার বিকেলে সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের জিরুয়া পাটোয়ারী বাড়ির কুয়েত প্রবাসী মহিন উদ্দিনের মেয়ে জিরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মাইশা বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ঘরের পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। অন্য শিশুদের চিৎকারে বাড়ি লোকজন এগিয়ে এসে পুকুরের পানিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইশাকে মৃত ঘোষণা করে।
পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
অপরদিকে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় একটি পুকুরে গোসল করতে যান স্বপন। পানিতে নামার একটু পর ডুবে যায় তিনি। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেলে স্থানীয় একজন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।