রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে মোট বেকার কত, জানাল বিবিএস ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হতে হবে: আমীর খসরু সময় মতো নির্বাচন না হলে আমরা মাঠে নামবো : জয়নুল আবদিন দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত বিমানবন্দর থেকে আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার ফ্রান্স-স্পেন সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান খলিলুরের স্থলপথে ভারতের আমদানি বিধিনিষেধ, আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দরে আটকা পণ্যবাহী ট্রাক শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় ভোমরা স্থলবন্দরে শিশুখাদ্য রপ্তানিতে শঙ্কা ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে আখাউড়া স্থলবন্দর ‘ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সব রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির দায়িত্ব’ নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ হওয়ার পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না: ডা. তাহের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের ফের শুনানি ১ জুলাই

নৌকা চালিয়ে জীবন কাটছে শিশু মুনিরার

পিরোজপুর সংবাদদাতা
আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২২
নৌকা চালিয়ে জীবন কাটছে শিশু মুনিরার

শক্ত কাঠের বৈঠাতে ভর করে জীবনের হাল ধরেছে ১২ বছরের মুনিরা। শারীরিক সমস্যার কারণে তার বাবা উপার্জনের সামর্থ্য হারিয়ে ফেলায় শৈশবেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। তবে শত প্রতিকূলতার মাঝেও পড়াশুনা ছাড়েনি সে। তার স্বপ্ন একদিন বড় চাকরি করবে, দাঁড়াবে অবহেলিত মানুষের পাশে। লড়াকু এই শিশুর পড়ালেখা যেন অব্যাহত থাকে, সেজন্য সবার সহযোগিতা চাইলেন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

হাফসা আকতার মুনিরা। পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার চরবাসরী গ্রামের মনির হোসেনের একমাত্র কন্যা। বয়স মাত্র ১২ পেরিয়েছে। বাবা ছিলেন খেয়া পারাপারের মাঝি। দেড় বছর আগে মনির হোসেনের চোখে সমস্যা দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। নিরুপায় মুনিরা বাধ্য হয় সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে। নরম হাতে তুলে নেয় শক্ত কাঠের বৈঠা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে চলে নদীর এপার ওপার।

তবে শত কষ্টের মাঝেও পড়াশোনা ছাড়েনি মুনিরা। সংসারের জন্য উপার্জন করা থেকে শুরু করে ঘরের কাজ সামলানো, সব করতে গিয়ে পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু তা ঘটেনি, তার ইচ্ছা শক্তি স্থানীয়দের নজর কেড়েছে।

প্রাইমারির গণ্ডি পরিয়ে মুনিরা পা রেখেছে মাধ্যমিকে। কাজের মধ্যেই কিছুটা সময় বের করে নেয় পড়াশোনার জন্য।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানালেন, মুনিরা বছরখানেক ধরে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত। তবে সবার সহযোগিতা পেলে আবারও নিয়মিত হতে পারবে।

অসহায় মুনিরার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে মুনিরা নিয়মিত ক্লাসে ফিরবে, বড় হয়ে পূরণ করবে তার স্বপ্ন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ