শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার সংলাপের প্রথম দিনেই বিএনপির সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা ১০ বছর পর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ‘সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও কাজ করুন’ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হত্যার অভিযোগ জাতীয় নাগরিক কমিটির বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম ইসরায়েলে ২৪০টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ ইংল্যান্ডের শক্তিশালী দল ঘোষণা, নতুন মুখ জাফার মায়ামির আরেকটি শিরোপা অঘটনের রাতে মাদ্রিদ-বায়ার্নের হার গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি কর দেয়ার রায় প্রত্যাহার জামিন পেলেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল চান বিশেষজ্ঞরা

ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণছেন চাষিরা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণছেন চাষিরা

পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না ফরিদপুরের কৃষকরা। একদিকে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় কমেছে উৎপাদন, অন্যদিকে খরচ বেড়েছে চাষের উপকরণের। এতে পাটের ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে স্থানীয় চাষিদের।

অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের মৌসুমে ফরিদপুরে পাটের উৎপাদন হয়েছে কম। পাটের বাজার কানাইপুরে হাটের দিনেও চোখে পড়েনা বেচা কেনা। হাটের দিনেও দেখা যায় অল্প কিছু চাষি ভ্যান বা মাথায় করে নিয়ে আসছেন পাট।

খরার কারণে এবছর পাট গাছ বড় ও মোটা হতে পারেনি। যে কারণে পাটের আঁশ কম হওয়ায় ফলন অনেকটাই কমেছে। বেড়েছে চাষের উপকরণ বীজ, সার, তেল, ওষুধ আর শ্রমিকের মজুরি খরচ। কিন্তু বাজারে মিলছে না পাটের ন্যায্য মূল্য। কৃষকের অভিযোগ, বিভিন্ন বাজার ও আড়তে ভাল মানের এক মণ পাট ২৮শ’ থেকে ৩২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যাতে লাভ তো দূরের কথা মুখ দেখতে হচ্ছে লোকসানের।

কম উৎপাদন এবং ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কমেছে পাটের ফলন, জানালেন কৃষকরা। পাটের পেছনে যা ব্যয় করছেন তাই ওঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।

পাট ক্রেতারা বলছেন, ভরা মৌসুমে বাজারে পাটের পরিমাণ অনেক কম। হাটের দিন যেখানে একজন ব্যবসায়ী পাঁচ থেকে সাত ট্রাক পাট ক্রয় করতো, সেখানে এখন দুই থেকে তিন ট্রাক পাট পাওয়া মুশকিল হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশেই থাকবেন তারা।

কীটনাশক সারসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম সরকার কমিয়ে দিয়েছে। তবে মানুষ এখন কৃষি কাজের চেয়ে অন্যান্য কাজে ঝুঁকে পড়েছেন। তবে সরকার যে পাটের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে কৃষকরা লাভবান হওয়ার কথা বলে জানান, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শাহাদুজ্জামান।

জেলার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষে উপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলে উন্নত মানের পাট উৎপাদন হয়ে থাকে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ