স্বপ্ন এখন সত্যি খুলে গেলো পদ্মা সেতুর দুয়ার। সামাজিক, অর্থনৈতিকতো বটেই ক্রীড়াঙ্গনেও তার প্রভাব পড়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে আনন্দ আয়োজন ছিলো মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আর মতিঝিলের বাফুফে ভবনে। পদ্মা সেতুকে দেশের গেম চেঞ্জার হিসেবে দেখছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
খুলেছে দখিন দুয়ার। উত্তাল পদ্মার বুকে রচিত হলো ইতিহাস। প্রতীক্ষার পালা শেষে শুরু হলো স্বপ্নের পথচলা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতু। এই গল্প দুর্গম গিরি জয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এই গল্প বিশ্বকে বিস্মিত করার।
পুরো দেশ যখন একসঙ্গে উৎসবে মাতোয়ারা তখন প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই রেশ। সেন্ট লুসিয়ার বুকে টিম বাংলাদেশ। কেক কেটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন সাকিব, তামিমদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য তো বটেই টাইগাররা স্মরণ করেছেন সেই সকল নির্মাণকর্মীদের যাদের শ্রম, ঘাম, রক্ত মিশে আছে প্রতিটা ইট, পাথর আর বালু কণায়।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, বাঙালি জাতির একটা স্বপ্ন ছিল, যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সম্ভব হয়েছে। সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, একটা সময় এমন ছিল যখন আমরা শিওর ছিলাম না যে পদ্মা সেতু হবে কি হবে না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ওনার ডেডিকেশন ও চেষ্টার কারণে আজকে আমরা সবাই পদ্মা সেতু পেয়েছি। বিশেষ করে শ্রমিক, যারা এখানে কাজ করেছেন। আপনাদেরকে একটা জিনিসই বলতে চাই আপনারা যে জিনিসটি করেছেন সেটি বাঙালি জাতি আজীবন মনে রাখবে।
মাওয়া প্রান্তের মতই উচ্ছ্বাসে মুখর ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শেরেবাংলায় বিসিবি সভাপতি, পরিচালক ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটাররা সাক্ষী হন গৌরবগাঁথার। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু গেইম চেঞ্জার।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, গেইম চেঞ্জার যাকে বলা হয় একেবারে গেইম চেঞ্জার। আমি মনে করি এটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ওসব জায়গায় আমরা ক্রিকেট নিয়ে ওতটা গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু এখন আমাদের একটা বিরাট সুযোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও উৎসবের ষোলআনা রেশ। মাওয়া-জাজিরা সংযোগের মাহেন্দ্রক্ষণে এক হয়েছেন ফেডারেশন কর্তা ও সাবেক ফুটবলাররা।
রক্তিম পূব আকাশে নতুন সূর্যোদয়। দুই পাড়ের জনপদের অপেক্ষার অবসান। যেখানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দক্ষিণের অ্যাথলেট, ক্রীড়াবিদরা।