রাশিয়ান আগ্রাসন প্রতিরোধে সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধবিমান পেয়েছে, তবে কিয়েভ পশ্চিমা অংশীদারদের কাছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সরবরাহের আহবান জানিয়েছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা তীব্রতর হওয়ায় অবরুদ্ধ মারিউপুলে বুধবার ইউক্রেনীয় এক মেরিন কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার বাহিনী ‘যদি কয়েক ঘন্টা না হয় হয়তো শেষ দিনের মুখোমুখি হচ্ছে।’ এরপরেই কিয়েভ এই যুদ্ধবিমান সরবরাহের আহবান জানায়।
কিয়েভ বলেছে, তাদের পাইলটদের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান চালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা মুষ্টিমেয় পূর্ব ইউরোপীয় দেশের রয়েছে।
পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য সম্প্রতি যুদ্ধবিমান ও যন্ত্রাংশ পেয়েছে, তবে বিমানের সংখ্যা এবং বিমানের উৎস সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
মারিউপুল দখলের লড়াইয়ে মস্কো সর্বশেষ আরেক আল্টিমেটাম জারি করে বলেছে, বুধবার মস্কো সময় বিকাল ২ টা (১১০০ জিএমটি) নাগাদ মারিউপুল নগরীতে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় সৈন্যদের মধ্যে যারা অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হবে তাদের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেয়া হবে।
মারিউপুলের শেষ শক্ত ঘাঁটিতে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় মেরিনদের এক কমান্ডার বলেছেন, তার বাহিনী ‘যদি কয়েক ঘন্টা না হয় হয়তো শেষ দিনের মুখোমুখি হচ্ছে।’
তিনি বুধবার ভোরে এক ফেসবুক পোস্টে তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার আবেদন জানান।
৩৬ তম মেরিন ব্রিগেডের সার্হেই ভোলেইনা বলেন, ‘শত্রুপক্ষের সংখ্যার তুলনায় আমাদের সংখ্যা কমে ১০ জন থেকে ১ জনে দাঁড়িয়েছে।’ আমাদের সেনারা অবরুদ্ধ আজভস্টাল কারখানার বিশাল ভূগর্ভস্ত টানেলে আশ্রয় নিয়েছে। রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সেখানে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় যোদ্ধা ও বেসামরিক লোক এই প্লান্টে আটকে আছে।
মারিউপুলের মেয়রের এক উপদেষ্টা অবরুদ্ধ কমপ্লেক্সে লোকদের ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা বলেছেন, ২,০০০ বেশী লোক যাদের মধ্যে বেশীরভাগই নারী ও শিশু; যারা খাদ্য, পানি, স্বাভাবিক সরবরাহ এমনকি মুক্ত বাতাস ছাড়াই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।