ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো উপকূলীয় দুই প্রদেশ গুয়াস ও এসমেরালদাসেতে জরুরি অবস্থা এবং রাত্রিকালিন কারফিউ জারি করেছেন।
মঙ্গলবার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত, আরো কয়েকজন আহত এবং কারা রক্ষীদের জিম্মি করে আটকের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা জারি করেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, গুয়ান-১ কারাগার থেকে বন্দী স্থানান্তরের প্রতিক্রিয়ায় অপরাধী চক্র বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিশ ও তেলের স্থাপনায় নয় দফা হামলা চালিয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগরী গুয়াকিলে অবস্থিত গুয়ান কারাগারে একের পর এক গণহত্যায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪শ’ বন্দী প্রাণ হারিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা গুয়াকিল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এসমেরালদাসেদেতে সংঘবদ্ধ অপরাধের জবাব দিয়েছি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইকুয়েডরকে ড্রাগ ট্রানজিটের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকাই এ সব ড্রাগের মূল গন্তব্য।
দেশটিতে খুনের হারও দ্বিগুণ হয়েছে। এক লাখ লোকের বিপরীতে ২০২১ সালে যেখানে খুনের হার ছিল ১৪ শতাংশ সেখানে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০২১ সালে ২১০ টন মাদক আটক করেছে। এর অধিকাংশই কোকেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মাদক আটকের পরিমাণ ১৬০ টন।