চরম অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। এ অবস্থায় দেশটিকে আরও ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে চীন। ১৩০ কোটি ডলার ঋণ প্যাকেজের অংশ হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে- বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসাক দার শুক্রবার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। টুইটবার্তায় ইসাক দার জানান, পাকিস্তানের ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন করার পর সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়ালি ব্যাংক লিমিটেড (আইসিবিসি)। তিন কিস্তিতে দেওয়া হবে এই ঋণের অর্থ; তারই প্রথম কিস্তি এসেছে শুক্রবার।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানকে ৭০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছিল চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলেপমেন্ট ব্যাংক। টুইটবার্তায় ইসাক দার জানিয়েছেন, তিন কিস্তিতে এই সহায়তা প্রদান করবে আইসিবিসি। তার মধ্যে প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসে পৌঁছেছে
দশকের পর দশক ধরে দেশের ক্ষমতাকাঠামোতে সামরিক বাহিনীর প্রাধান্য, দুর্নীতি, অপচয়-অপব্যায়ের জেরে ভয়াবহ রিজার্ভ সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। দেশটির মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির রেকর্ড দরপতন হয়ে এক ডলারের দাম পৌঁছেছে ২৮৫.০৯ রুপিতে।
এ রেকর্ড পতনকে আইএমএফের সাথে পাকিস্তান সরকারের চলমান অচলাবস্থাকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকেরা। কয়েক মাস ধরেই বিদেশি মুদ্রার সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের হাতে দুই সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রাও নেই।
এ অবস্থায় সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না-আইসিবিসি। এরই মধ্যে চীনের ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার পেয়েছে পাকিস্তান।
দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, তিন কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ হস্তান্তর করা হবে। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করবে।
এদিকে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। তিনি বলেন, কিছু উন্নত দেশের আর্থিক নীতি পাকিস্তানসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক সমস্যার মূল কারণ।