পাকিস্তান পার্লামেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা। মূল প্রতিদ্বন্দ্বি নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিও হাডাহাড্ডি লড়াই করছে।পাকিস্তানে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর সহিংসতায় মোড়া পার্লামেন্ট নির্বাচন শেষে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়।
তবে বিলম্বিত ফলাফল প্রকাশে জন্য যোগাযোগের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার দেশটিতে মূল প্রতিদ্বান্দ্বিতা হচ্ছে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ও কারাবন্দি ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিতদের মধ্যে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে জাতীয় পরিষদের ১৪৮ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬১টি আসনে জয়ী হয়েছেন, যার বেশির ভাগই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন)। তারা পেয়েছে ৪৩ আসন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তারা পেয়েছে ৩৮ আসন। এর বাইরে এমকিউএম চারটি, জেইউআই (পি) একটি ও পিএমএল একটি আসনে জয় পেয়েছে।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ১৪৬টি আসনের ফল দেওয়া হয়েছে। এতে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬০টি আসনে জিতেছে। নওয়াজের দলের প্রার্থীরা ৪৩ আসন ও বিলাওয়ালের দলের প্রার্থীরা ৩৬ আসনে জয় পেয়েছেন। আর ৮টি আসনে জিতেছেন অন্য প্রার্থীরা।
তবে, লাহোরের মাসেহরাত আসনে ১১ হাজার ছয়শ’ ঊনষাট ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন নওয়াজ। লাহোরে অপর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশীদকে হারিয়েছেন তিনি।
পাঞ্জাবের লোধরানে জয় পেয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলওয়াল। জাতীয় পরিষদের পাশাপাশি চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনী ফলাফলও ঘোষণা হচ্ছে একসাথে। ভোটের চূড়ান্ত ফল কবে জানা যাবে তা নিশ্চিত করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের দুই সপ্তাহের মধ্যে ফল ঘোষণার নিয়ম রয়েছে।