ভারতের পাঞ্জাবে পুলিশের সামনে এক শিবসেনা নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই নেতার নাম সুধীর সুরি। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পাঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। খবর বিবিসি’র।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হিন্দু দেব-দেবীর অসম্মানের প্রতিবাদে শুক্রবার শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতা সুধীর সুরি অমৃতসারের গোপাল মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। তখনই ভিড়ের মধ্যে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই শিবসেনা নেতা। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভির ফুটেজে থেকে দেখা যায়, সমাবেশে পুলিশি পাহারায় বসেছিলেন সুরি। এসময় হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ দু‘জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। শিবসেনা নেতাকে গুলি করার জন্য পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি দুই ব্যক্তিকে একটি গাড়ি থেকে নেমে শিবসেনা নেতা সুরিকে গুলি করতে দেখেছেন। এরমধ্যে একজন খুব কাছ থেকে গুলি করে বলে জানান। মোট পাঁচবার গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। মাথা, কাঁধ ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, গুলি করেই দুই অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পুরো ঘটনাটি পুলিশের সামনেই ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে সব বলে জানান ওই প্রত্যক্ষদর্শী।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দিনেদুপুরে শিবসেনা নেতা খুনের ঘটনায় ভগবন্ত মান সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। শিবসেনার পাঞ্জাব শাখার সভাপতি যোগরাজ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারের আমলে পাঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্যের। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা তেজিন্দার সিং বাগ্গা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর একটি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের জন্য সুধীর সুরিকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। গত মে মাসে পাঞ্জাবের গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিঁধু মুসেওয়ালার খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল পাঞ্জাব। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হলেন শিবসেনা নেতা।