ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে এবং প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। সিএনএন ও বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এখন তাদের কৌশল পরিবর্তন করে পূর্ব ইউক্রেনকে স্বাধীন করার দিকে নজর দিচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো সম্পন্ন হয়েছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ করার ক্ষমতাকে সীমিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের অপারেশন প্রশাসনের প্রধান সের্গেই রুডোস্কোই বলেছেন, ‘অপারেশনের প্রথম পর্যায়ের প্রধান লক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে, যা আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে। আমাদের এখন লক্ষ্য হলো ডনবাস অঞ্চলের স্বাধীনতা।’
রুডোস্কোই বলেন, গত এক মাসের যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেনের বিমান এবং নৌ বাহিনীর সিংহভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে। তার মন্তব্য ছিল – যুদ্ধের ‘প্রথম ধাপটি সাফল্যের সাথে শেষ হয়েছে।’
এখন থেকে ইউক্রেনের পূর্বাংশের নিয়ন্ত্রণ দখলই রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য হবে – এমন কথা বললেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করলেই মস্কো ব্যবস্থা নেবে। অবরুদ্ধ অন্যান্য শহরে হামলা বন্ধের কোনো কথাও বলা হয়নি।
রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বলেছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে। তকে কী সেই লক্ষ্য তা পরিষ্কার করা হয়নি।
ব্রিটেনের গোয়েন্দা বিষয়ক পরামর্শক সংস্থা সিবিলাইনের প্রধান নির্বাহী এবং সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জাস্টিন ক্রাম্প বিবিসিকে বলেছেন রাশিয়া গত এক মাসে তাদের যুদ্ধে তেমন সাফল্য পায়নি এবং তার প্রধান কারণ তারা একসাথে অনেকগুলো ফ্রন্টে লড়াই করছে।
তবে তিনি বলেন, রাশিয়া পূর্বের লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণে নেয়ার লক্ষ্য অর্জনে ‘অনেকটাই সফল হয়েছে’ এবং দোনেতস্ক অঞ্চলে তীব্র লড়াই চলছে। সেখান (দোনেতস্ক) থেকে খুব কম খবরই আমরা পাচ্ছি। সেখানে তীব্র লড়াই হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে আমরা সেখানে তীব্র লড়াই দেখব।