প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ উপকূলের ৯ জেলায় দেয়া হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। আবহাওয়া অফিস বলছে, রাতেই আঘাত হানবে এই ঘূর্ণিঝড়। দুপুরে উপকূল ছুঁবে অগ্রভাগ। আর এরইমধ্যে উপকূলে এর প্রভাব শুরু হয়েছে।
খেপুপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ এরইমধ্যে প্রবেশ করেছে। যার ফলে কুয়াকাটায় উত্তাল সাগর। তীরে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ।
ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের বিকেল ৩টা মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্বেচ্ছায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না। আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকত এলাকায় পর্যটক যেন না থাকে সে লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরায়ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বইতে শুরু করেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে হালকা থেকে ভারি বাতাস বইছে।
সুন্দরবনের তীরে দাঁতিনাখালী এলাকায় মালঞ্চ নদীর বেড়িবাঁধ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় কিছু অংশ ভেঙে যায়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। আবারও সেই একই এলাকা প্লাবিত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমালে। তবে এ এলাকার মানুষও নিজেদের বাড়িঘর রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না।
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি ও হাল্কা দমকা হাওয়া বইছে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কক্সবাজার শহরের কিছু নিচু এলাকায় প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি।