প্রশ্নফাঁস পরিচালকের কক্ষ থেকে, বিক্রি জুয়ার আসরে

- আপডেট সময় : ১১:৪০:১৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২ ৪ বার পড়া হয়েছে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পরিচালক প্রশাসনের কক্ষ থেকে ফাঁস হয়। এরপর রাজধানীর উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে জুয়ার আসর থেকে বিক্রি করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে মিলেছে প্রশ্ন বিক্রির লেনদেনের তথ্য। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ২০২১ সাল থেকে প্রশ্ন বিক্রি করে এ চক্র হাতিয়েছে দেড় কোটি টাকা। প্রশ্নফাঁসে জড়িত বিমানের জিএম- নিরাপত্তা ও জিএম প্রশাসন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১২ পদের নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন বলাকা ভবনে পরিচালক প্রশাসনের কক্ষে পরীক্ষার প্রশ্ন ফটোকপির সময় এমডির অফিস সহকারী জাহিদ হাসান প্রশ্নের ছবি তুলে নেয়।
সেদিন অফিস না থাকলেও বিমান বাংলাদেশের অফিসে ঢুকতে দেখা যায় গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরকে। পরে তিনি জাহিদের কাছ থেকে প্রশ্ন নিয়ে বের হন। আরেক গাড়ি চালক মাসুদের সাথে মোটর সাইকেলে প্রশ্ন নিয়ে যান একটি হোটেলে। সেখানে জুয়ার আসর থেকেই তা বিলি করা হয়।
জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে উদ্ধার ডায়েরি পৃষ্ঠায় নিয়োগপ্রত্যাশীদের নাম ও তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকার পরিমাণ জানা গেছে। ২০২১ সাল থেকে তিনবার প্রায় ৮৬ জনের কাছ থেকে টাকা নেয়া ছাড়াও রয়েছে ভাগাভাগির তথ্য।
ডিএমপি গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, অনেকগুলো এমন সরকারি কর্মচারি যারা কিনা চাকরি ফাঁকি দিয়ে জুয়া খেলতে যায় এবং জুয়ার টাকার জন্যই তারা এরকম প্রশ্নফাঁস ও নানা রকম জালিয়াতির কাজগুলো করে থাকে বলে তারা আমাদের কাছে ও বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
গোয়েন্দারা জানান, মাসুদ ও জাহাঙ্গীর বিমানের জিএম- নিরাপত্তার গাড়ী চালক। প্রশ্নফাঁসে জড়িত ওই কর্মকর্তাও। দায়িত্বে অবহেলা আছে জিএম- প্রসাশনের।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, অবহেলার অভিযোগ আসছে। কারো ক্ষেত্রে ১৬৪ এ সরাসরি প্রশ্ন বিতরণ করার অভিযোগ আসছে। আমি মনে করি এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিমানের এমডি।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যাহিদ হোসেন বলেন, আমরা তদন্তে সহায়তা করছি। ফৌজদারি তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালে আমরা আসলে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
ঘটনা তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশের পাশপাশি মন্ত্রণালয় ও বিমানের পক্ষ থেকেও দুটি আলাদা কমিটি করা হয়েছে।