ফারদিন মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি বান্ধবী বুশরা গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২ ০ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি তার বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী বুশরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বুশরাকে তার রামপুরার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।

এর আগে একই দিন সকালে ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় বান্ধবী বুশরাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

কাজী নুরুদ্দিন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। সব সংস্থাই আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আজ রামপুরা থানায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছি।

এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিন দিন নিখোঁজের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পরও থানায় মামলা হয়নি। কারণ ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পরে জিডি করা হয়েছিল রামপুরা থানায়। তার বাসা ডেমরা থানার অধীনে। আর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাই থানা জটলায় মামলা কোথায় হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে ফারদিন হত্যার ছায়াতদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার ফুটেজে নিখোঁজের দিন ফারদিনকে রামপুরা এলাকায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা গেছে। রাত ১০টায় বান্ধবীকে নামিয়ে দিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার কথা ছিল ফারদিনের। রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে তার বান্ধবী মোবাইল ফোনে এসএমএসে জানতে চেয়েছিল বাসায় গেছে কিনা। তখন ফারদিন এসএমএসে উত্তর দেয় বাসায় গেছেন। তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল তার এক বন্ধুর। বুয়েট হলে যাবে কিনা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল। বাসায় যাওয়ার কথা বলে জুরাইন এলাকায় কেন গেল বিষয়টি রহস্যজনক।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।

রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।ফারদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফারদিন মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি বান্ধবী বুশরা গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি তার বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী বুশরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বুশরাকে তার রামপুরার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।

এর আগে একই দিন সকালে ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় বান্ধবী বুশরাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

কাজী নুরুদ্দিন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। সব সংস্থাই আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আজ রামপুরা থানায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছি।

এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিন দিন নিখোঁজের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পরও থানায় মামলা হয়নি। কারণ ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পরে জিডি করা হয়েছিল রামপুরা থানায়। তার বাসা ডেমরা থানার অধীনে। আর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাই থানা জটলায় মামলা কোথায় হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে ফারদিন হত্যার ছায়াতদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার ফুটেজে নিখোঁজের দিন ফারদিনকে রামপুরা এলাকায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা গেছে। রাত ১০টায় বান্ধবীকে নামিয়ে দিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার কথা ছিল ফারদিনের। রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে তার বান্ধবী মোবাইল ফোনে এসএমএসে জানতে চেয়েছিল বাসায় গেছে কিনা। তখন ফারদিন এসএমএসে উত্তর দেয় বাসায় গেছেন। তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল তার এক বন্ধুর। বুয়েট হলে যাবে কিনা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল। বাসায় যাওয়ার কথা বলে জুরাইন এলাকায় কেন গেল বিষয়টি রহস্যজনক।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।

রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।ফারদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।