ইউক্রেনে সামরিক হামলাকে কেন্দ্র করে বহুমাত্রিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে রাশিয়া। তার মধ্যে ফুটবলের দুই বড় সংগঠক ফিফা এবং উয়েফাও ছিল। তারা রাশিয়া এবং রাশিয়ার সব ফুটবল ক্লাবকে নিষিদ্ধ করে। তখনই ফিফাকে দেখে নেবার মত হুমকিও দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত চব্বিশ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের রাশিয়ার বিপক্ষে না খেলেই পোল্যান্ড ম্যাচ জিতে যায়, কেননা ঐদিন রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। যার ফলে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর বাছাইপর্বের প্লে অফে খেলতে পারেনি দেশটি। সে সময় ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্রীড়া আদালতে আপিল করে রাশিয়া। অবশেষে সেই আপিল তুলে নিয়েছে রাশিয়া। এদিকে ফিফার উপর থেকে সেই আপিল তুলে নিলেও উয়েফার বিরুদ্ধে করা আপিল বহাল রেখেছে রাশিয়া।
ফিফা ছাড়াও পোল্যান্ড, সুইডেন ও চেক প্রজাতন্ত্রের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে কাল আপিল প্রত্যাহার করে রাশিয়ার ফুটবল ইউনিয়ন (এফইউআর)। খবরটি নিশ্চিত করেছে খেলাধুলায় যেকোনো বিরোধ মীমাংসা করার সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)।
ইউক্রেনে হামলাকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে রাশিয়া। শুধু ফুটবল না, আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস, রাগবি, রোয়িং ও স্কেটিং থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সিএএসে আপিল করেছিল রাশিয়া। গত মাসে তার শুনানিতে ফিফার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাশিয়ার আবেদন নাকচ করে দেয় সিএএস।
সিএএসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘গোটা প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ করা হবে।’ সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, উয়েফার বিরুদ্ধে আপিল অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। নিজেদের মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
সিএএস আরও জানায়, রাশিয়ান ক্লাবগুলোর ওপর উয়েফার নিষেধাজ্ঞা তারা তুলে নেবে না এবং চূড়ান্ত শুনানির দিন খুব দ্রুতই ধার্য করা হবে।
ফিফার বিরুদ্ধে আপিল তুলে নেয়ায় নিশ্চিত হলো, কাতার বিশ্বকাপে রাশিয়ার ছেলেদের দলকে দেখা যাচ্ছে না। এ বছর মেয়েদের ইউরোতেও দেখা যাবে না রাশিয়াকে। সিএএসের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ এফইউআর জানায়, ‘তারা (ফিফার বিরুদ্ধে) আপিল তুলে নিয়েছে।’