প্রথমবারের ফিফা বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কারটা জিতে নিয়েছেন আর্জেন্টিনা ও অ্যাস্টন ভিলার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের জন্য বিশ্বের সেরা গোলকিপারের পুরস্কারটা উঠে তার হাতে।
সারা বছর ইংলিশ লিগের খেলায় ব্যস্ত থাকলেও তেমন সামনে আসতে দেখা যায় না তাকে। গত বছর কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলেছে আলবিসেলেস্তারা। সেখানে দুর্দান্ত সব গোল ঠেকিয়েছেন মার্টিনেজ।
মার্টিনেজ সেখানেই থামেননি। কেননা, এরপর আন্তর্জাতিক ফুটবলের আরও বড় আসর বিশ্বকাপ শুরু হয়। এ মঞ্চেও লিওনেল মেসিদের সঙ্গে অনেকটা আলো কেড়ে নেন মার্টিনেজ। এবার তার প্রতিদানও পেয়েছেন।
এই পুরস্কার জয়ের পথে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ পেছনে ফেলেছেন বিশ্বকাপে মরক্কোর হয়ে দুর্দান্ত খেলা ইয়াসি বুনো এবং রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কোর্তোয়াকে।
এর আগে ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মার্কা বর্ষসেরার এ মঞ্চে আর্জেন্টাইনদের জয়জয়কারের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তাদের প্রতিবেদনে বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে মেসি, গোলকিপার মার্টিনেজ এবং সেরা কোচের পুরস্কারও লিওনেল স্কালোনিই পাবেন বলে জানানো হয়।
বর্ষসেরা গোলরক্ষকের অ্যাওয়ার্ড জয়ের পর মার্টিনেজ বলেন, সবাই জানতে চায় আমার আদর্শ কারা? মা-বাবাকে দৈনিক ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করতে দেখেছি। তারাই আমার আদর্শ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে গুরুত্বপূর্ণ সেভের আগে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে অবিশ্বাস্য একটি সেভও করেছিলেন মার্টিনেজ। গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলা দুর্দান্ত মার্টিনেজের উত্থান মূলত কোপার আসরে। এর আগেও দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু সে সময় তিনি আহামরি কোনো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। কোপা আমেরিকায় দলের সাফল্যের পর তিনি হয়ে উঠেছিলেন আস্থার প্রতীক।
মাঠের বাইরে বুনো উদযাপনের জন্য সমালোচিত মার্টিনেজ এবারই প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন। মাঠের পারফরম্যান্সে তিনি ভুলিয়ে দেন বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ড। তারই প্রতিদান হিসেবে এবার ফিফার সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও তিনি দখল করে নিয়েছেন।