চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোট ২৩২ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এরমধ্যে ১১০ জন নারী ও ১২২ জন কন্যাশিশু রয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২৩২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২০ জন কন্যাসহ ৩৬ জন। যারমধ্যে ৩ জন কন্যাসহ ৭ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর একজন জন কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৮ জন কন্যা শিশুসহ মোট ১১ জন।
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এতে বলা হয়, উল্লেখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৯ কন্যাসহ মোট ১৬ জন। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ৯ জন কন্যা শিশু। এরমধ্যে উত্ত্যক্ত করার কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন। আর নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৩টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে একজন। পাশাপাশি যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ জন। যারমধ্যে ৩ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। আর শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১৯ জনের মধ্যে ৫ জন কন্যা। এছাড়া আরও ২ জন গৃহকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ১৫ জন কন্যাসহ ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি একজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া ৩ জন কন্যাসহ ১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ৫ জন কন্যাসহ ১৬ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। যারমধ্যে ৩ জন কন্যাসহ ৮ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর ১০ কন্যা শিশু অপহরণের শিকার হয়েছে। সেই সঙ্গে একজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে একজন। পাশাপাশি একজন কন্যাসহ ৫ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। সেই সঙ্গে উল্লেখিত সময়ে বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৮টি। এছাড়াও ৫ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।