রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, টুঙ্গিপাড়ায় কতো গেছি তা হিসাব করে বলতে পারব না। যতোবারই আমি সেখানে গেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে রিসিভ করেছেন। তাই কালকে উনাকে রিসিভ করতেই আমি বাড়িতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী কাল আমার বাড়ির মেহমান’। আজ (সোমবার) কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের কামালপুরে নিজ বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারিনি। কারণ বাড়ির যে বর্তমান গেইট সেখানে তখন নৌকা ও লঞ্চ ভিড়তো। বাড়িতে আসাটাই সম্ভব ছিল না। যার জন্য উনি এখানে আসেন নাই। কিন্তু এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, হেলিপ্যাড আমার বাড়ির কাছেই। সমাবেশও আমার বাড়ির সামনের হেলিপ্যাডে। সুতরাং আমার বাড়ির ওপর দিয়ে যাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এটা উনার জন্যও কি ঠিক হবে আমার বাড়িতে আসবেন না। উনি আমার বাড়িতে আসতেছেন এই হিসেবে আমি খুবই খুশি’।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুও মিঠামইনে আসছিলেন। আমি যখন ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী ছিলাম তখন আমার পক্ষে প্রচারণার জন্য বঙ্গবন্ধু মিঠামইনে এসেছিলেন। তখন বঙ্গবন্ধু মিঠামইন, নিকলী, ইটনা হাওরে ঘুরে গেছেন। তখন এমন পরিবেশ বা সুযোগ ছিল না যে বঙ্গবন্ধু বাড়িতে আসবে। তখন মিঠামইন বাজার থেকে আমি বঙ্গবন্ধুকে আমার বাড়ি দেখিয়েছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আমার বাড়িতে আসতে পারেন নাই।
বঙ্গবন্ধু আসতে পারেন নাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আপনার বাড়িতে আসতেছে আপনার কেমন লাগছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখনো তো আসেন নাই। আসলে পরে বলতে পারব। এটা পেন্ডিং থাকুক। এটা পরে বললেই ভালো হবে। তবে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমার বাড়িতে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে কী দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আবদুল হক নুরু, ছোট বোন আসিয়া আলম ও আমার বড় ছেলে এমপি তৌফিক আছেন তারা কী ব্যবস্থা করছে, আমাকে কী খাওয়াবে এইডাও আমি জানি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কী খাওয়াবে এইডাও আমি কইতারতাম না’।
পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কামালপুরে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে আসছেন। ওই দিন সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়ি মিঠামইন সদরের কামালপুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ পড়ে রাষ্ট্রপতির আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। পরে বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।