বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদের জয় প্রতিপক্ষের জালে বায়ার্নের ৯ গোল সারা দেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৮৭২ অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : তারেক রহমান ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করছে : মির্জা ফখরুল দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের দেশের মোট রিজার্ভ ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘পরিকল্পনার কাজ শেষ, শিগগিরই শ্বেতপত্র লেখার কাজ শুরু করবে কমিটি’ ইসির নিবন্ধন পেল জোনায়েদ সাকির গণসংহতি মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার তারল্য সংকট সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক ফের তিন দিনের রিমান্ডে মেনন মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত ও শাহরিয়ার কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড

বন্ধ হচ্ছে না রেমিট্যান্সের পরিবর্তে স্বর্ণ আনা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২৪
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমলো

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরেই ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে তিন মেট্রিক টন ওজনের ২৭ হাজার ৫৪৬ পিস স্বর্ণের বার বৈধ করা হয়েছে। বাড়তি লাভের আশায় রেমিট্যান্সের ডলার না পাঠিয়ে স্বর্ণের বার নিয়ে আসছেন প্রবাসীরা। শুল্কহার দ্বিগুণ করেও মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্সের পরিবর্তে স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৫৪৬ পিস স্বর্ণের বার বৈধ করেছেন। প্রতি পিস ১২ লাখ টাকা হিসাবে এই স্বর্ণের বারের বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। সাড়ে তিন মেট্রিক টন ওজনের এই বারের মাধ্যমে শুল্ক আদায় হয়েছে মাত্র ১০৮ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ব্যাগেজ রুলে প্রায় ৫৪ কেজি স্বর্ণালংকার বৈধ হলেও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তা কমে সাড়ে ২৭ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মাত্র দুই কেজি স্বর্ণালংকার আটক হলেও পরের বছর তা বেড়ে প্রায় ৩৪ কেজি হয়েছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ জানান, সদ্য বিদায়ী অর্থ বছরে সাড়ে ২৭ কেজি ওজনের ২৩৫ পিস অবৈধ স্বর্ণের বারের বিপরীতে কাস্টম শুল্ক পেয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বিমানবন্দরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর কারণে স্বর্ণ চোরাচালান কমেছে বলেও দাবি বিমান বন্দর পরিচালকের।

কাস্টম আইনের ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী একজন প্রবাসী ৪০ হাজার ২০০ টাকা শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে এক পিস স্বর্ণের বার আনতে পারেন। অবশ্য ২০২২-২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত প্রতি পিস বারের শুল্কহার ছিলো ২০ হাজার ১০০ টাকা। আর বার আনতে পারতো ২টি। এই সুযোগে ওই অর্থ বছরে ২০ মেট্রিক টন ওজনের ১ লাখ ৭২ পিস স্বর্ণের বার বৈধ করা হয়। শুল্কহার বাড়ানো হলেও বাড়তি লাভের আশায় প্রবাসীরা স্বর্ণের বার নিয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদায়ী অর্থ বছরের ১১ মাসে এ অঞ্চলের ১১ জেলার প্রবাসী রেমিট্যান্স হিসাবে পাঠিয়েছেন ৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের বাজারে বর্তমানে প্রতি ভরি স্বর্ণালংকার ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ