ভারী বৃষ্টিপাতে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অঞ্চলটির যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বর্ষাকালের মধ্যে গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পশ্চিমের কর্নালি প্রদেশে। প্রবল বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি তুষারধসের ঘটনাও ঘটেছে।
অঞ্চলটি থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রদেশ জুড়ে অন্তত ২২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে এবং আরও অনেক লোক আহত হয়েছে। তুষারধস ও বন্যায় শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকর্মীরা দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।
দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে অন্নপূর্ণা পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমরা মাঠপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোতায়েন করেছি। সুরখেত থেকে লোকজনকে উদ্ধারের জন্য আমরা একটি উড়োজাহাজের ব্যবস্থাও করেছি। তবে আবহাওয়ার উন্নতি না ঘটায় আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না।’
নেপালের জরুরি সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলেছে, কর্নালি প্রদেশের কিছু এলাকায় কর্নালি নদীর পানি (১২ মিটার) ৩৯ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে কর্নালি নদীর ওপর নির্মিত বেশ কয়েকটি ঝুলন্ত সেতুও ভেসে গেছে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলি বলেছে যে তারা পশ্চিম নেপালের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলিতে খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ করছে। নেপাল তার বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে, যা সাধারণত জুন মাসে শুরু হয় এবং অক্টোবরে শেষ হয়।
ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের মতে, এই বছর বৃষ্টিজনিত দুর্যোগে অন্তত ১১০ জন মারা গেছে।