ইউরোপ যাওয়ার পথে সমুদ্র থেকে প্রায় ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড বাহিনী। ৩ অক্টোবর ধরা পড়া এসব লোকের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, রোববার ধরা পড়া নৌকাটি এবং এর যাত্রীদের লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শহর জাভিয়ার একটি তেল পরিশোধনাগার পয়েন্টে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক, তা জানা যায়নি।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নৌকাটি থেকে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সাগরে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।
এ ঘটনার আগের দিন (১ অক্টোবর) গারগারেশ শহর থেকে নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার অভিবাসী বা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে লিবিয়া সরকার। অবৈধ অভিবাসন ও মাদকপাচার রোধে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কোনো পাচারকারী বা মাদককারবারিকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
লিবিয়ার সমুদ্রে ধরা পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেক সময় বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
দরিদ্র আফ্রিকা, যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষের অবৈধপথে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা