শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শীতের তাণ্ডব, তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে মুসলিম বলেই বসবাস করতে দেবেন না হিন্দুরা ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬ কলকাতা মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ ভারতের অপপ্রচারে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই : উপদেষ্টা সাখাওয়াত ‘বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে কঠোর জবাব দেয়া হবে’ পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ আমাদের ঘৃণা করে এমন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নয়: রিজভী ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধর্ম নিয়ে বিভেদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না: খন্দকার মোশাররফ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় ৪৯ গণমাধ্যমে গুজবের ছড়াছড়ি ‘স্বৈরাচারের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র করছে’ দিল্লি চলো কর্মসূচি ঘিরে আবারও উত্তাল ভারত শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও ভোগ্যপণ্যে নাভিশ্বাস অ্যাটলেটিকোর জয়, ঘরের মাঠে নাপোলির পরাজয়

বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুন ৪, ২০২৪
বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না।

মঙ্গলবার (জুন ০৪) দুপুরে গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯, ১০০, ১০১, ১০২, ১০৩ এবং ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিগত বছরগুলোতে নিয়মিত অনুষ্ঠিত এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩০৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কয়েকজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে একটি হলোগ্রাম করা হয়েছে। ওই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই বাড়িতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই বাড়ি আমরা দুই বোন ব্যবহার করব না।

তিনি বলেছেন, বাড়িটি (ধানমন্ডি ৩২) বাংলাদেশের জনগণকে আমরা দান করে দিয়েছি। কারণ, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জনগণের ছিলেন। এ বাড়িটিতে শুধু আমাদের অধিকার নয়, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল সিস্টেম, কম্পিউটার শিক্ষা—এই শিক্ষার প্রসার আমরা ঘটাচ্ছি। তার কারণ হচ্ছে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, প্রযুক্তির যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে থাকবে না। তাদেরও সেইভাবে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, আজকের যারা তরুণ, শিশু তারাই হবে ২০৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তোমরা এ দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেভাবেই আমরা তোমাদের গড়তে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ করার, এখন আমাদের ঘোষণা ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছি স্কুল স্কুলে, সেই সাথে কম্পিউটার ট্রেনিং এবং ইনকিউভেশন সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত দূরেই থাকি না কেন এই ছোট্ট সোনামণিরা তোমরা আছো আমার অন্তরে। আমরা শিশুদের সুরক্ষায় আইন করেছি নীতিমালা করেছি। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। প্রাক প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। বৃত্তি উপবৃত্তি দিচ্ছি, উচ্চ শিক্ষার জন্য আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি জেলায় জেলায়। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্যাশন ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যারো স্পেস অ্যান্ড এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখতে পারে, তাদের মেধার বিকাশের সুযোগ হয়, সে সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের প্রেসিডেন্ট প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হাশেম খান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ