দেশে আমদানি ব্যাপক হারে বেড়েছে, তবে সেই তুলনায় রপ্তানি আয় হয়নি। ফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
রোববার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) যে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির বিল পরিশোধে ব্যবহার বেড়েছে ডলারের। কিন্তু সে তুলনায় রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে।
চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সমন্বয়ে বাড়তি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রতি ডলার মূল্য ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা হলেও ব্যাংকে লেনদেন হচ্ছে অন্তত ৯১ টাকায়। এতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো। নির্বাহীদের দাবি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের এলসি পেমেন্ট করতে ডলার প্রতি ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল ইসলাম দাবি করেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের এলসি পেমেন্ট করতে ডলার প্রতি ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা। ছোট ছোট বেসরকারি ব্যাংকগুলো বাড়তি দামে ডলার কিনছে।
সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন- বাফেডা। ডলার সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রধান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ব্যাংকেরই যখন ডলারের প্রয়োজন হচ্ছে তখন আমরা ডলার সরবরাহ করছি। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৫৮১ মিলিয়ন ডলার মার্কেটে সরবরাহ করেছি। সুতরাং আমি মনে করি ডলারের এই ঘাটতি সহসাই কমে যাবে।
ডলারের বিনিময় মূল্য বৃদ্ধিতে কিছুটা বাড়তি মুনাফা অর্জনের সুযোগ পান রপ্তানিকারকরা। যদিও খরচ বাড়ার শঙ্কায় থাকেন আমদানিকারকরা।