রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। ওয়াশিংটনে বসন্তকালীন আলোচনার চতুর্থ দিনে আঞ্চলিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ কথা জানান। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সামলাতে মুদ্রানীতি কঠোর করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বৈম্বিক প্রবৃদ্ধি বা মুদ্রানীতি বা অর্থনীতির জটিল অংক বা হিসাব-নিকাশ সাধারণ মানুষ বোঝেন না। তারা বোঝেন তাদের ভাতের থালার দাম উঠলো কত, শিক্ষা-স্বাস্থ্যে কতটা কাটছাট করতে হলো আর বাসস্থানের যে হিসাব-নিকাশ, সে দেনা-পাওনা মেটানোর পর তার পকেটে কতটা সঞ্চয় হলো বা কতটা ফাঁকা হলো। আইএমএফ বলছে শুধুমাত্র বৈশ্বিক কারণেই নয়, রাষ্ট্রগুলোর যে রাজস্ব নীতি রয়েছে, তার পরিকল্পনা সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেও মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতির চাপ নিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
গত এক বছরে মূল্যস্ফীতির রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতা ছিল খাদ্যপণ্যের বাজারে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি কখনো ওঠানামা করলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে অসহায় হচ্ছে মানুষ। আয়ের সাথে ব্যায়ের ব্যবধান হয়েছে চড়া। শুরুতে সরকারের আমদানি রপ্তানি সমন্বয়ে কঠোর নীতি আরোপ করে সরকার। এরপর মূদ্রানীতিতে ঋনের সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে কঠোরতা। চালু হয় ট্রেজারি বিলে ৬ মাসের গড়ে স্মার্ট রেট পদ্ধতি। তবে মূল্যস্ফীতি সামল দিতে মূদ্রানীতি ওরো কঠোর করার পরামর্শ দিলো আইএমএফ।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে আইএমএফ এর এশিয়া ও পেসিফিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কৃষ্ণা শ্যীনিবাস বলেন, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার বিকল্প নেই।’
এদিকে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানান, রাজস্ব পরিকল্পনায় বাৎসরিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যেসব দেশ পিছিয়ে আছে তাদের ওপর মূল্যস্ফিতির জাল থেকে বেড়িয়ে আসা কঠিন হচ্ছে।
সারাবিশ্বে এশিয়া প্রবৃদ্ধিতে ৬০ শতাংশ অবদান রাখছে। তবে দুর্নীতির কারণে অনেক দেশে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ কমছে বলে মত আইএমএফের।