‘বাংলাদেশ এবং চীন সম্পর্ক অনেক গভীর। চীনের মানুষও বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেখতে চায়। চীন আশা করে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাদান হবে। যেহেতু চীনের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে, সুতরাং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাশীলতা তারা চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বাংলাদেশ কখনোই চীনের ঋণের ফাঁদে ছিল না। এটা একটা নেগেটিভ প্রচারণা বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সাথে মধ্যস্ততার জন্য চীন চেষ্টা করছে বলেও জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।
লি জিমিং বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলাম। তখন বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তে অপ্রত্যাশিত উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেছিলাম। এছাড়া, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সাথে চীনের আলোচনার অগ্রগতি জানিয়েছি। সব কিছু মিলিয়ে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরও সময় লাগবে। এখনই সুনির্দিষ্ট কোন তারিখ এখনই বলা যাবে না।’
উইগুয়ের মুসলিমদের বিষয়টি কোন ধর্মীয় বিষয় নয়। চীন সরকার কেবল সন্ত্রাস এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।